ইদানিং ডায়াবেটিসের পাশাপাশি চোখ রাঙাচ্ছে কোলেস্টেরলও। ঘরে ঘরে বাড়ছে উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মত সমস্যা। যদিও এর জন্য আমাদের রোজকার অভ্যাসকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকেরা। অর্থাৎ একজায়গায় বসে কাজ, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা, অতিরিক্ত পরিমাণে তেল-মশলাদার খাবার-ই বাড়িয়ে দিচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি। আজকাল বাড়ছে ইস্কেমিক হৃদরোগ, যার জন্যেও দায়ী এই কোলেস্টেরল।
রক্তে উপস্থিত মোম জাতীয় পদার্থ হল কোলেস্টেরল। ভাল আর খারাপ-এই দুই রকম কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। কোলেস্টেরল হল নীরব ঘাতক। অজান্তেই ক্ষতি করে শরীরের। ওজন বাড়লে এবং মধ্যপ্রদেশ ভারী হলে ধরেই নিন যে শরীরে বাড়ছে কোলেস্টেরলের মাত্রা।
কোলেস্টেরল বাড়লে তা ধমনীতে চর্বি আকারে জমতে শুরু করে। ফলে ধমনী সরু হয়ে যায়। সেখান থেকে রক্তচলাচল বাধা পায়। এরল ফলে হতে পারে হার্ট অ্যার্টাক বা স্ট্রোক। এছাড়াও শরীরে কোলেস্টেরল বাড়লে তার দুটো উপসর্গ থাকে। যা বআমরা প্রায়শই উপেক্ষা করে যায়।
কোলেস্টেরল বাড়লে ধমনীতে চর্বি জমে যায়। যে কারণে রক্তচলাচল হ্রাস পায়। ফলে পা আর হাতে যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত এসে পৌঁছয় না। চিকিৎসা পরিভাষায় এই সমস্যাকে বলা হয় পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ। যার ফলে হাতে তীব্র ব্যথা হয়। অনেক সময় ল্যাপটপে একটানা টাইপ করলে হাতে ব্যথা হয় কিংবা হাতের সাধারণ মুভমেন্টও কষ্টকর হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও কিন্তু দায়ী কোলেস্টেরল।
কাজ করতে করতে হাত বা পায়ে ক্র্যাম্প ধরে অনেকসময়। এরপর কিছুটা সময় বিশ্রাম নিলে তা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়। এই পুরো প্রক্রিয়াকে বলা হয় ক্লোডিকেশন। এমন সমস্যা কিন্তু অবহেলা নয়। এখান থেকে আরও গুরুতর হতে পারে সমস্যা। এই ব্যথাও কোলেস্টেরল বাড়ারই ইঙ্গিত।
পা অসাড় হয়ে যাওয়া, পায়ের নখ ক্রমশ ভঙ্গুর হতে থাকলে, পায়ের ঘা যদি তাড়াতাড়ি না শুকোয় এবং পায়ের ত্বকের রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া কোলেস্টেরল বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত