Gautam Gambhir: কোচ হওয়া কিন্তু… তিক্ততা টের পেয়েছিলেন হাড়েহাড়ে, গম্ভীরকে সতর্ক প্রাক্তনীর
Team India Head Coach: কোচের বাসনা নিয়ে এগিয়ে চলা কিংবা আলোচনায় থাকা এক প্রাক্তন ক্রিকেটারকে এই সবই শিক্ষা দিচ্ছেন আর এক প্রাক্তন। প্রথম জন অবশ্যই গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। আর দ্বিতীয় জন অনিল কুম্বলে। যাঁর ভারতীয় টিমে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা একেবারে ভালো নয়। কিংবদন্তি লেগস্পিনার কী বলছেন গম্ভীরকে?
কলকাতা: তোমার ছুটি, আমার নয়! এই বিজ্ঞাপনী লাইন যে কোনও কোচের ক্ষেত্রে চমৎকার খেটে যায়। প্লেয়ারের ছুটি থাকে, অনেক সময় জাতীয় দল বা ক্লাব থেকেও মেলে সাময়িক বিরতি। কিন্তু কোচ হলে ছুটি-ছাটার কোনও গল্প নেই। কোচকে সারাক্ষণই টিম নিয়ে ভেবে যেতে হয়। ম্যাচ থাকুক আর না-ই থাকুক কোচের মনে মনে প্রতি মুহূর্তে এক একটা ম্যাচ চলে। এই চলমান ম্যাচের মধ্যে দিয়েই কোচ বিপক্ষের বিরুদ্ধে তৈরি করেন স্ট্র্যাটেজি। সেই কারণেই বলা হয় কোচিং আসলে থ্যাঙ্কলেস জব। মানে ভালো কিছু হলে প্লেয়ারদের নিয়ে নাচানাচি চলে। আর খারাপ হলেই যত দোষ নন্দ ঘোষের মতো কোচের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়। ক্লাব থেকে জাতীয় দল, সর্বত্রই এই খেলা চলে আসছে। যে টিম যত বেশি জনপ্রিয়, তার চাপ তত বেশি। যে টিম ঘিরে যত বেশি প্রত্যাশা, সেই টিমের কোচকে তত বেশি চাপ নিতে হয়। এমন কোচেদের মনে মনে কি ভয়ের মেঘও জমা হয়? হয় নিশ্চয়ই, না হলে কোচেদের পদত্যাগের মতো ঘটনা মুহূর্মুহূ ঘটত না। কোচের বাসনা নিয়ে এগিয়ে চলা কিংবা আলোচনায় থাকা এক প্রাক্তন ক্রিকেটারকে এই সবই শিক্ষা দিচ্ছেন আর এক প্রাক্তন। প্রথম জন অবশ্যই গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। আর দ্বিতীয় জন অনিল কুম্বলে। যাঁর ভারতীয় টিমে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা একেবারে ভালো নয়। কিংবদন্তি লেগস্পিনার কী বলছেন গম্ভীরকে?
ভারতের পরবর্তী হেড কোচ হতে চলেছেন কে? এই প্রসঙ্গ উঠলেই একবাক্যে অনেকেই বলবেন, টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকা গৌতম গম্ভীর। এর আগে ভারতের কোচিং করিয়েছিলেন কুম্বলে। কিন্তু এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি দায়িত্ব ছাড়েন। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই আগেভাগে গম্ভীরকে সতর্ক করলেন এ বার কুম্বলে। তিনি বলেছেন, ‘ওকে (গৌতম গম্ভীরকে) সময় দিতে হবে। ওর মধ্যে টিমের কোচিং করানোর ক্ষমতা রয়েছে। গৌতম কী ভাবে দল পরিচালনা করেছে, আমরা সেটা দেখেছি। ও ভারতের, নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজ এবং দিল্লির ক্যাপ্টেন্সি করেছে। দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা ওর মধ্যে রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় কোচের দায়িত্বটা একটু আলাদা। তাই আমার মনে হয় ওকে সময় দিতে হবে। যদি ও কোচের দায়িত্বে আসে তা হলে এখনকার দল নয়, ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও ওকে খুঁজে বার করতে হবে।’
টি-২০ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর রাহুল দ্রাবিড়ের হেড কোচের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বিসিসিআই নতুন কোচ খোঁজার বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছিল যে, নতুন হেড কোচের মেয়াদ হবে সাড়ে তিন বছর, অর্থাৎ ২০২৭ এর ডিসেম্বরে। কুম্বলে বলেন, ‘ধারাবাহিকতাই সকলে চায়। রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় টিমের হয়ে দুর্দান্ত কাজ করেছেন। আশা করি ওর জন্য এবং ভারতের জন্য এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্মরণীয় হতে চলেছে। বেশ কিছু সিনিয়র প্লেয়ার নিজেদের কেরিয়ারের শেষে দাঁড়িয়ে রয়েছে।’