শুক্রবারই বগটুই-কান্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই রাজ্যের তৈরি সিটের হাত থেকে তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিবিআই। আদালত নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়ে যায় সিবিআই-এর তৎপরতা। আর শনিবার বগটুই গ্রামে পৌঁছে গেলেন আধিকারিকরা। এ দিন বীরভূমের পুলিশ সুপারের কাছ থেকে কেস ডায়েরি নিয়েছে সিবিআই। তারপরই শুরু হয়ে সরেজমিনে তদন্ত।
রামপুরহাটে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের গেস্ট হাউসে হতে পারে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ও ডিআইজিও এখানে এসেছেন। ৬ টি ঘরও বুক করা হয়েছে বলে খবর। যদিও বুকিংয়ের কোনও সময়সীমা বলা হয়নি।
বগটুইয়ে (Bagtui Massacre ) সেদিন রাতে কী হয়েছিল, চোখের সামনে দেখেছিল ১৪ বছরের কিশোর। বরাত জোরে পালিয়ে বাঁচে সে। তবে শরীরের অনেক জায়গাই পুড়ে গিয়েছিল। সে কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাকে। এরপরই প্রথম শিরোনামে উঠে আসে তার কথা। এই সেই কিশোর, যে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল গত মঙ্গলবার। যদিও পরে সে ফিরে আসে। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর এখন সে রামপুরহাটের (Rampurhat) এই অভিশপ্ত গ্রাম থেকে বহুদূরে এক আত্মীয়র বাড়িতে রয়েছে। হাত, পা, কোমরের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে। টিভি নাইন বাংলা খোঁজ পেয়ে পৌঁছে গিয়েছিল সেখানে। অকপট কিশোর তুলে ধরল সেই রাতের ভয়াবহ ছবিটা।
সবিস্তারে পড়ুন: Bagtui Exclusive: ‘ওরা কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে পেট্রোল ঢালল গায়ে, তারপর আগুন ধরিয়ে দিল’, বগটুইয়ে বীভৎস রাতের বর্ণনা দিল সেই কিশোর…
বগটুইকান্ডের তদন্তে বীরভূম জেলায় অস্থায়ী ক্যাম্প করছে সিবিআই। সেই ক্যাম্প থেকেই চলবে তদন্ত প্রক্রিয়া। আনারুল-সহ ধৃত অভিযুক্তদের আজই নিজেদের হেফাজতে নেবে সিবিআই। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি পলাতক অভিযুক্তদেরও খোঁজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বগটুই ‘গণহত্যা’র ঘটনায় তদন্ত শুরু করল সিবিআই। শনিবারই রামপুরহাটে পৌঁছয় ২৫ জন সিবিআই আধিকারিকের একটি দল। প্রথমেই পুলিশসুপারের কাছ থেকে কেস ডায়েরি সংগ্রহ করে তারা। এরপর পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। যে সোনা শেখের বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে, সেই বাড়ি ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সিবিআই আধিকারিক ও সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবোরেটরি বা সিএফএসএল (CFSL) বিশেষজ্ঞরা সোনা শেখের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন।
সবিস্তারে পড়ুন: Bagtui Massacre: পোড়া রক্ত, পোড়া মাংসের মাঝেই বগটুইয়ে প্রমাণ খুঁজছে সিবিআই, নজরে আট প্রশ্ন…
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে (Bagtui Massacre) যে নৃশংসতা ঘটে গিয়েছে, তার সঙ্গে গোটা তৃণমূল জড়িত। এমনটাই মনে করছেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যের শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে শমীক বাবু বলেন, “তৃণমূল মুখপাত্রের শরীরী ভাষা, বীরভূমের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিক্রিয়া বলছে, এটা শুধু ভাদু – আনারুলের লড়াই নয়। এটাতে গোটা তৃণমূল জড়িত। আপার অনুমতি ছাড়া আনারুল পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে কী করে! পরীক্ষা থেকে নিয়োগ — এ রাজ্যের সব আজ আদালতে চ্যালেঞ্জড হয়ে যাচ্ছে। ব্লক ভোট করতে গিয়ে এত লোকের মৃত্যু। মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে।”
বিস্তারিত পড়ুন : Bagtui Massacre: ‘শুধু ভাদু-আনারুলের লড়াই নয়, গোটা তৃণমূল জড়িত’! বগটুইকান্ডে সুর চড়ালেন শমীক
বগটুই হত্য়াকান্ডে (Bagtui Massacre)এবার এফআইআর দায়ের করল সিবিআই (CBI)। মোট ১০ টি ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। পুলিশের অভিযোগ পত্রের ভিত্তিতেই এই এফআইআর করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খুন, খুনের চেষ্টা, আগুন লাগানো, হিংসা ছড়ানো সহ মোট ১০ টি ধারায় ২১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতেই রামপুরহাট যাচ্ছে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল। সিবিআইয়ের দুটি দল ইতিমধ্যেই কলকাতা থেকে বীরভূমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন : CBI on Bagtui Massacre: বগটুইকান্ডে তৎপর সিবিআই! ২১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর
রাজ্যে একের পর এক হিংসা। জনপ্রতিনিধিরা খুন হচ্ছেন। প্রকাশ্য়ে গুলি করে খুন করা হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা (Law and Order of West Bengal) পরিস্থিতি কোন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, তা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে। এরই মধ্যে শুক্রবার বিকেলে বগটুই হত্যাকান্ডের (Bagtui Massacre) প্রতিবাদে পথে নামল কলকাতার নাগরিক সমাজ। প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন অম্বিকেশ মহাপাত্র, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অনীক দত্ত, পবিত্র সরকার সহ শহরের আরও অনেক বিশিষ্টজনরা। স্টুডেন্টস এগেইস্ট ফ্যাসিজ়মের ব্যানারে চলে নাগরিক সমাজের এই প্রতিবাদ মিছিল। মিছিলে ছিলেন বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের একাধিক পরিচিত মুখ।
বিস্তারিত পড়ুন : Bagtui Massacre Protest March: বগটুই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথের দখল নিলেন বিশিষ্টরা
বৃহস্পতিবারই বগটুই গ্রাম (Bagtui Massacre) পরিদর্শনে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ভয়ে সিঁটিয়ে থাকা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। যাঁরা আতঙ্কে, বাড়ি-ঘর ছেড়ে, অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁদের গ্রামে ফিরে আসার জন্য আহ্বান করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অভয় দিয়েছিলেন পুলিশি নিরাপত্তার। মুখ্যমন্ত্রীর সেই আহবানের পর ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে ভরসা রাখতে পারলেন ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মানুষগুলি? ক’টি পরিবার ফিরলেন বাড়িতে? গ্রাউন্ড জিরো থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাস্তব চিত্রটা তুলে ধরল TV9 বাংলা। বগটুইয়ের একাধিক বাড়িতে এখনও তালাবন্ধ। প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারপরও বগটুইয়ের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। গোটা গ্রামটা যেন এখনও এক আতঙ্কপুরী।
বিস্তারিত পড়ুন : Bagtui Massacre: মুখ্যমন্ত্রীর বরাভয়েও কেউ সাহস পেলেন না, অন্ধকার নামলেই শশ্মানের নিঃস্তবদ্ধতা
বগটুই হত্য়াকান্ডের (Bagtui Massacre) তদন্তভার নেওয়ার পর এবার বৈঠকে সিবিআই (CBI)। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার নেওয়ার পর রামপুরহাট হত্যাকান্ড নিয়ে এই প্রথমবার বৈঠকে বসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৈঠক চলছে সিজিও কমপ্লেক্সে। বৈঠকে রয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টরের নেতৃত্ব তদন্তে নামতে চলেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ, শনিবারই বীরভূমে যেতে পারেন সিবিআইয়ের এই বিশেষ তদন্তকারী দল। জানা গিয়েছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের যে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ রয়েছে, সেখানেই বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
বিস্তারিত পড়ুন : সিজিও কমপ্লেক্সে বৈঠকে সিবিআই, বগটুইকান্ডের তদন্তের নেতৃত্বে থাকতে পারেন জয়েন্ট ডিরেক্টর
আমি নির্দোষ, নির্দোষ। এ কথা বলতে বলতেই আদালতে ঢুকলেন বগটুই-গণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেন। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত আনারুল গ্রেফতার হওয়ার পরও দাবি করছেন, এই ঘটনায় তাঁর কোনও হাত নেই। শুক্রবার তাঁকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়েছিল। এ দিন তাঁর কেস ডায়েরি জমা নিয়েছে আদালত। আনারুলকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বগটুইতে গিয়ে ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে আনারুলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাঁর বাড়িতে গেলে দেখা যায়, তিনি নেই। পরে তারাপীঠে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রামপুরহাট আদালতের বিচারক সৌভিক দে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন এ দিন।
বিস্তারিত পড়ুন : জেরা করলেই বেরবে অন্যদের নাম, পুলিশ হেফাজতে আনারুল
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বৃহস্পতিবার তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আনারুল হোসেনকে। শুক্রবার আদালতে পেশ করা হল সেই তৃণমূল নেতাকে। আর আদালতে দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেন আনারুল।
বগটুই গণহত্যা ইস্যুতে আজও উত্তাল বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করে স্লোগান ও বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের। বিধানসভায় রামপুরহাট হত্যাকান্ড নিয়ে আলোচনা দাবি করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিকে কর্ণপাত করেননি। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে অথচ বিধানসভায় এই নিয়ে কোনও আলোচনাই হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীকে এই নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে, এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।
বিস্তারিত পড়ুন: Bagtui Massacre: ‘তবে কি সর্বাধিনায়িকার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করছেন তৃণমূলের লোক?’ উত্তাল বিধানসভা
বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে আনারুল হোসেনকে। আর শুক্রবার সকালে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর আনারুলকে জেরা করতে তারাপীঠে গেল সিটের আধিকারিকরা।
বীরভূমের বগটুইতে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে রাজ্য পুলিশের ওপর আর ভরসা করা যাবে না। এ কথা জানিয়ে শুক্রবার বগটুই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারই শেষ হয় এই মামলার শুনানি। রায়দান স্থগিত রেখেছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। স্বতস্ফূর্তভাবে এই মামলা গ্রহণ করেছিল আদালত। মাত্র দুদিনের শুনানির পরই সিবিআই তদন্তের পক্ষে রায় দিল ডিভিশন বেঞ্চ। এ দিন আদালতের তরফে বলা হয়েছে, বগটুই -এর হত্যাকান্ড যে ভাবে সমাজে প্রভাব ফেলেছে, তাতে রাজ্যের তদন্তকারীদের ওপর আর ভরসা করা যাবে না।
বিস্তারিত পড়ুন: রাজ্য পুলিশে ভরসা নয়, বগটুই-কান্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
বগটুইয়ের ঘটনা নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হল। হিন্দু সেনার সর্বভারতীয় সভাপতি এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার এই মামলা দায়ের হয়। সিট বা সিবিআই দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করানো হোক বলেই মামলাকারী আর্জি জানিয়েছেন।
সবিস্তারে পড়ুন: Bagtui Case in Supreme Court: বগটুই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হিন্দু সেনার সভাপতির
রামপুরহাট-১ ব্লকে তৃণমূলের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হল। সভাপতি হলেন সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। আনারুল হোসেনের গ্রেফতারির পর নতুন ব্লক সভাপতি জিম্মি। রামপুরহাটের কাউন্সিলর, জেলা কমিটির সদস্য তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বগটুইয়ে যাওয়ার পরই একের পর এক পদক্ষেপ। গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে। সাসপেন্ড করা হয়েছে এসডিপিও, আইসিকে। প্রথমে আইসি ত্রিদীব প্রামাণিককে সাসপেন্ড করা হয়। তারপরই সাসপেন্ড করা হয় রামপুরহাটের এসডিপিও সায়ন আহমেদকে।
রামপুরহাট লাগোয়া সন্ধিপুরের বাসিন্দা আনারুল হোসেন এক সময় কংগ্রেস করতেন। পরে ১৯৯৮ সাল নাগাদ তৃণমূলে যোগ দেন। এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি রামপুরহাট-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। এলাকায় ‘দক্ষ সংগঠক’ হিসাবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
সবিস্তারে পড়ুন: Anarul Arrested on Bagtui Massacre: বালিখাদান থেকে দলের হয়ে ভোট পরিচালন, এলাকায় আনারুলই শেষ কথা
সাসপেন্ড করা হল রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীব প্রামাণিককে। মুখ্যমন্ত্রী বগটুই যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই পদক্ষেপ। ঘটনার পরের দিনই ক্লোজ করা হয়েছিল আইসিকে। এবার কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল তাঁকে।
বগটুই-কান্ডে ধরা পড়লেন তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন। আনারুলের বিরুদ্ধেই প্রথম থেকে অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেও তাঁরা একই অভিযোগ করেন। আর তারপরই আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিস্তারিত পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই বগটুই-কান্ডে গ্রেফতার আনারুল
বাগটুই যাওয়ার পথে বাধা পেল বিজেপির প্রতিনিধি দল। রামপুরহাটে প্রবেশ করার অনেক আগেই আটকে গেল বিজেপির প্রতিনিধি দল। সাঁইথিয়া রোডে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের গাড়ির সামনে দাঁড় করানো ছিল একটি সিমেন্টের বস্তা বোঝাই ট্রাক। এ ভাবে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে ওই রাস্তায়। বিজেপির দাবি ওই যানজট স্বাভাবিক নয়। বিজেপিকে বাধা দেওয়ার জন্যই এই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি সুকান্ত মজুমদারের।
বিস্তারিত পড়ুন: মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিমেন্টের বস্তা বোঝাই ট্রাক, বাগটুই ঢুকতে পারলেন না বিজেপির প্রতিনিধি দল
বগটুই-কান্ডে প্রথম থেকে তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনের দিকেই আঙুল তুলছিল আক্রান্তদের পরিবার। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুলের নির্দেশেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। বগটুইতে গিয়ে সেই আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, আনারুল যদি ওই পরিবারগুলির আর্জি শুনে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন, তাহলে হয়ত এই ঘটনা ঘটত না। পাশাপাশি এসডিপিও ও আইসি-র গাফিলতি ছিল বলেও এ দিন উল্লেখ করেছেন মমতা। বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে গিয়ে আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
বিস্তারিত পড়ুন : Mamata Banerjee in Bagtui: ‘যেখান থেকে পারবেন অ্যারেস্ট করুন’, তৃণমূল নেতা আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ মমতার
আক্রান্তদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিলেন মমতা। পরিবারগুলির হাতে তুলে দিলেন ৫ লক্ষ টাকার চেক। যাঁদের ঘর পুড়ে গিয়েছে তাঁদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে আরও ১ লক্ষ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে পরিজনদের চাকরি দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন মমতা।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বগটুইতে গিয়ে মমতা জানালেন, আনারুল যদি পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করত, তাহলে হয়ত এই ঘটনা ঘটত না।
বিজেপি বিধায়কদের ল্যাংচা-ব্রেকের পর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বগটুই সফর ঘিরে শোরগোল। ‘গণহত্যার’ সরেজমিনে মমতা, আর তাতে সুস্বাগতম গেট। বগটুইয়ে ঢোকার আগেই মমতা-কেষ্টর হাসিমুখের কাটআউটে ছয়লাপ। ‘মৃত্যুপুরী’ বগটুইয়ে কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর হাসি মুখের ছবি? মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বগটুই সফর ঘিরে এবার কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেছেন, “মহিলা, শিশুরা রাজ্যে জীবন্ত দগ্ধ। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য সাজছে শহর। মানুষকে ন্যায়বিচার, নিরাপত্তা দেওয়ার থেকে এটাই গুরুত্বপূর্ণ।”
বিস্তারিত পড়ুন: Mamata Banerjee’s Poster in Bagtui: কেষ্টর সঙ্গে হাসিমুখে ছবি, বগটুই সফরে ‘দুয়ারে-বিতর্কে’ জড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
বগটুই গ্রামে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার আড়াই দিন পর অভিশপ্ত বগটুইতে গেলেন মমতা। আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে গ্রামে ফিরেছেন মিহিলালও।
নিজের গোটা পরিবারকে যিনি চোখের সামনে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যেতে দেখেছেন, তিনি কোনওভাবেই ফিরতে রাজি ছিলেন না। বিডিও-র সামনে হাতজোড় করে কেঁদেছিলেন মিহিলাল। বাতাসপুর থেকে বগটুই যাওয়ার পথেই যদি কিছু ঘটে যায়। এই আতঙ্কেই সিঁটিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু পরে দেখা গেল পুলিশের সঙ্গে বগটুই যাচ্ছেন সেই মিহিলাল। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাঁকে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানা গিয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন : চাপের মুখে মত বদল? ‘না’ বলেও শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করছেন মিহিলাল
বীরভূমে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রামপুরহাট হেলিপ্যাডে নেমে বগটুই-এর দিকে রওনা হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর গাড়িতেই রয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। জেলার একাধিক তৃণমূল নেতাও বগটুই যাচ্ছেন মমতার সঙ্গে।
রামপুরহাটের পথে রওনা হয়েছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে রামপুরহাটে যাচ্ছেন ওই প্রতিনিধিরা। চার প্রাক্তন আইপিএস-কে নিয়ে ওই টিম তৈরি করা হয়েছে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রামপুরহাট যাওয়ার কথা। আর তার আগেই রওনা হল বিজেপি প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ভারতী ঘোষ সহ চার অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাঠানো ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গেই রামপুরহাট যাবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিস্তারিত পড়ুন: Bagtui Massacre: চার প্রাক্তন আইপিএসকে নিয়ে বগটুই-এর পথে বিজেপির প্রতিনিধি দল
বীরভূমের বগটুই গ্রামে এখনও কাটেনি আতঙ্কের ছায়া। গোটা পরিবারকে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যেতে দেখেছেন মিহিলাল শেখ। তাঁর দাবি ওই পরিবারের দুই শিশুর কোনও খোঁজ নেই। প্রথম থেকেই স্থানীয় লোকজনের অনুমান ছিল, দুই শিশুরও মৃত্যু হয়েছে ওই দিন। এমনকি শিশু মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বীরভূম পুলিশকে চিঠিও দিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। কিন্তু, সরকারি তথ্য বলছে, মৃত্যু হয়নি দুই শিশুর। তারা নিখোঁজ। কোথায় গেল সেই দুই শিশু, প্রশ্ন তুলছে পরিবার।
বিস্তারিত পড়ুন : কোথায় গেল দুই শিশু? বগটুইয়ের সেই অভিশপ্ত রাত থেকেই ‘নিখোঁজ’ আকাশ, সূর্য
বৃহস্পতিবার বগটুই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দেবেন তিনি। বগটুই পৌঁছে ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখবেন তিনি। তারপর হাসপাতালে যাবেন। সেখানে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৪ জন ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কথা বলবেন সিটের আধিকারিকদের সঙ্গে। তদন্তের গতিপ্রকৃতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। উল্লেখ্য এদিনই, দুপুর ২টোর মধ্যে হাইকোর্টে তদন্তের গতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিটকে। বুধবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে প্রশ্ন করে সিবিআই কি প্রস্তুত এই ঘটনার তদন্তভার নিতে। কেন্দ্রের তরফ থেকে ইতিবাচক উত্তর দেওয়া হয়।
বিস্তারিত পড়ুন: দুপুর ২টোয় হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেবে সিট, আজই বগটুইয়ে তদন্তকারীদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা
বুধবার বগটুইয়ে (Bagtui Massacre) এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তারপর সেখান থেকে রামপুরহাট হাসপাতালেও যান তিনি। সেখানে আহতদের অবস্থার খোঁজখবর নেন শুভেন্দু। হাসপাতালে গিয়ে প্ৰথমেই তিনি কথা বলেন সেখানের এমএসভির সঙ্গে। এরপর তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে যান আহতদের দেখতে। সেখানে এক শিশু সহ তিন জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের দেখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “বার্ন উইনিটই নেই, লিখিত ভাবে হাসপাতাল কতৃপক্ষের তরফে জানানো পরেও ৬০-৬৫ শতাংশ বার্ন অবস্থায় নাজিমা বিবিকে রেখে দেওয়া হয়েছে রামপুরহাট হাসপাতালে।”
বিস্তারিত পড়ুন : Suvendu Adhikari : ‘বার্ন ইউনিটই নেই, তাও এখানেই রেখে দেওয়া হয়েছে’, রামপুরহাট হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু
বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালকে পশ্চিমবঙ্গে ঘটে চলা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি এই বিষয়ে একটি শব্দও বলব না। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলে দিয়েছেন। এই বিষয়ে তাঁর ভাবনা স্পষ্ট। আমি নিশ্চিত আপনারা সবাই তা শুনেছেন। এই ধরনের হত্য়াকান্ড আমরা সাম্প্রতিক অতীতে দেখিনি। তিনি এর প্রতিবাদ করেছেন।”
রাজ্যপাল সেই সঙ্গে আরও বলেন, “তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের অনুভূতিকে স্পর্শ করেছেন। মহিলা ও শিশুদের জ্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে – গণতন্ত্রে এর থেকে কষ্টের আর কিছু নেই। এই বিষয়ে এর বেশি আমি আর কিছু বলব না।”
বিস্তারিত পড়ুন : Jagdeep Dhankhar on Bagtui: ‘রামপুরহাটে যা ঘটেছে, তা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার’, রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন তুললেন ধনখড়
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওনাকে আমি অনুরোধ করব, মুখটা আগে ব্লিচিং ফিনাইল দিয়ে পরিষ্কার করুন। এক সপ্তাহে ২৬ জনকে খুন করার পরে, কদর্য ভাষায় বলছেন ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে রামপুরহাট। উনি তো আসবেন হেলিকপ্টারে। একটা লোক যদি কলকাতা থেকে রামপুরহাট পৌঁছাতে চান, সকাল সাতটা সময় বেরিয়ে এখানে পৌঁছান তিনটের সময়। তিনি যদি রাস্তায় কোথাও দাঁড়িয়ে এক কাপ চা, জল খান, তাঁকে বলবে ল্যাংচা খেয়ে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে যাচ্ছে?”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বুধবারই জানিয়েছেন, তিনি আগামিকাল রামপুরহাট (Bagtui Massacre) যাচ্ছেন। আর এই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতেই রামপুরহাট যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “উনি আগামিকাল আসছেন, যাতে এনআইএ, সিবিআই হলে, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে দিতে পারেন।”
বগটুই হত্যাকান্ডে (Bagtui Massacre) এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। সোনা শেখের বাড়িতে পোড়ানোর আগে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়েছিল। কুপিয়ে খুনের পর দেহে আগুন লাগানো হয়েছিল। সিটের (SIT) তদন্তকারী দলকে মৌখিকভাবে জানাল ফরেনসিক (Forensic)। সূত্রের খবর, ফরেনসিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, ঘর রক্তে ভেসে গিয়েছিল। বিভিন্ন ঘরে মিলেছে পোড়া রক্তের নমুনা। একটি লোহার রড থেকে আঙুলের ছাপও নেওয়া হয়েছে বলে খবর। একটি প্লাস্টিকের জার মিলেছে অকুস্থল থেকে। ঘরের দক্ষিণ পূর্ব কোণে প্রথম আগুন লেগেছিল বলেও উঠে এসেছে ফরেন্সিক রিপোর্ট। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন : Bagtui Massacre: আগে এলোপাথারি কোপ, তারপর আগুন! সিটকে কী রিপোর্ট দিল ফরেনসিক?
রামপুরহাট হত্যাকান্ড (Bagtui Massacre) নিয়ে এবার আরও চাপ বাড়ছে রাজ্য সরকারের উপর। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি লিখেছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Commission for Women) চেয়ারপার্সন। একইসঙ্গে সেই চিঠির কপি দেওয়া হয়েছে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
বিস্তারিত পড়ুন : Bagtui Massacre: আক্রান্ত মহিলারা ও রেহাই নেই শিশুদেরও! বাগটুই হত্যাকান্ডে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চাইল জাতীয় মহিলা কমিশন
বগটুই কান্ডে তদন্তভার নিতে কি আদৌ প্রস্তুত সিবিআই? কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে প্রশ্ন করে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। তদন্ত করতে যে সিবিআই প্রস্তুত, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই বগটুই কান্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে। আদালতের এদিনের পর্যবেক্ষণের পর এই বিষয়টি আরও জোরাল হল।
বিস্তারিত পড়ুন বগটুই কান্ডে তদন্তভার নিতে প্রস্তুত সিবিআই, জানাল কেন্দ্র, সিটের রিপোর্ট তলব আদালতের
তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের নির্দেশেই আগুন লাগানো হয়েছে, এমন অভিযোগ সামনে এসেছে। আগুনে পুড়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের লোকজনের মুখেই শোনা যাচ্ছে আনারুলের নাম। কিন্তু অভিযোগের কথা শুনে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন আনারুল। তবে অনুব্রতর দাবি নস্যাৎ করে তিনি মন্তব্য করেছেন, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বগটুইয়ে (Bagtui Massacre) বৃহস্পতিবার যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রামপুরহাট হত্যাকান্ডের নেপথ্যে রয়েছে বিরোধীদেরই চক্রান্ত, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। নেতাজি ইন্ডোরে দাঁড়িয়ে বুধবার প্রথমবার বগটুই হত্যাকান্ডে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। কোন তত্ত্ব খাঁড়া করলেন তিনি? দেখুন একনজরে…
বিস্তারিত পড়ুন: Mamata Banerjee On Bagtui Massacre: ‘ল্যাংচা খেয়ে ল্যাংড়াতে ল্যাংড়াতে ওরা যাচ্ছে ওখানে’, ‘রেডি’ থেকেও আজ বগটুই গেলেন না মুখ্যমন্ত্রী
সোমবার রাতে আর্তনাদ কানে এসেছিল তাঁর। শিশু আর মহিলাদের চিৎকার শুনেছিলেন ফতেমা। কিন্তু ভয়েই বেরতে পারেননি ঘর থেকে। প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে শুনেছিলেন সেই বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার। তারপর সব থেমে যায়। রাতে আতঙ্কে উঁকি মেরে দেখার সাহসই পাননি তিনি। ঘরে তালা লাগিয়ে ভিতরে ঢুকে যান তিনি।
বিস্তারিত পড়ুন: Bagtui Massacre: ১৫ মিনিট ধরে শোনা গেল ‘বাঁচাও বাঁচাও’, আচমকা লোডশেডিং, বিস্ফোরক দাবি প্রত্যক্ষদর্শীর
রামপুরহাটে পৌঁছেই বাধার মুখে পড়লেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মঙ্গলবার বগটুইয়ের হত্যাকান্ড প্রকাশ্যে আসার পরই শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। আর বুধবার সকালেই মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে সেখানে পৌঁছল সিপিএমের প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে যেতে গেলে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশের সঙ্গে বচসাও শুরু হয় তাঁর। পরে তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে একজন তাঁর পরিচিত ছিলেন। তাই পুড়ে যাওয়া ঘরটা দেখতে এসেছেন তিনি।
বিস্তারিত পড়ুন : ‘আমার জামাইটা কোন ঘরে মারা গিয়েছে দেখতে এসেছি, আমার অধিকার আছে’
এই ঘটনায় তাই বীরভূম পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাইল শিশু সুরক্ষা কমিশন। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে চিঠি লেখা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।
বিস্তারিত পড়ুন: পুড়ে দলা পাকিয়ে গিয়েছে একাধিক শিশু ও মহিলার দেহ, রামপুরহাট-কান্ডে এবার তৎপর শিশু সুরক্ষা কমিশন
২৪ ঘণ্টা পার হয়েছে। বগটুইতে কান পাতলে বোধহয় কাক-পক্ষীর আওয়াজ ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছে না। তল্পিতল্পা নিয়ে গ্রাম ছেড়েছেন মানুষ। মধ্যরাতে ওই ১০ জনের আর্তনাদ কারা শুনেছিল, সেই উত্তর দিতে সাহস পাননি কেউ। আর ওই ১০ জনের মধ্যেই ছিল নবদম্পতি সাজিদ-মর্জিনা। সোমবার সকালেই নানুর থেকে বগটুই পৌঁছেছিলেন তাঁরা। রাতে এক বন্ধুকে ফোনও করেছিলেন সাজিদ। বিপদে পড়েছেন বুঝতে পেরেই সম্ভবত পুলিশ নিয়ে আসার কথা বলেছিলেন। তবে সেটাই যে সাজিদের শেষ কথা হবে, তা ভাবেননি বন্ধু, পরিজনেরা।
বিস্তারিত পড়ুন : কয়েক ঘণ্টা আগেই বগটুই পৌঁছেছিল নবদম্পতি, চেনাই গেল না সাজিদ-মর্জিনার ‘লাশ’
তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে ভর সন্ধ্যায় খুন। রাস্তার মাঝেই বোমা মেরে খুন করে পালায় দুষ্কৃতীরা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলে গেল রামপুরহাটের ছবি। জ্বালিয়ে দেওয়া হল একের পর এক বাড়ি। সকালে উদ্ধার হল দলা পাকানো লাশ। যেন বাস্তব নয়, বলি সিনেমার চিত্রনাট্য। কিন্তু আদতে এতটাই মর্মান্তিক ছবি দেখল রাজ্যবাসী। তবে কি খুনের বদলা খুন? কেন একই দলের মধ্যে বিরোধিতা এতটা চরমে? প্রশ্ন উঠছে অনেকগুলো। তবে একটু তলিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, আসলে সমস্যার শিকড় অনেক গভীরে।
বিস্তারিত পড়ুন: বারবার তৃণমূলকে মারছে তৃণমূল, ‘কেষ্ট’ মণ্ডলের জেলায় দ্বন্দ্বের আসল বীজ কোথায় লুকিয়ে?
বগটুইতে সোমবার রাতে ঠিক কী হয়েছিল? কী ভাবে অতগুলো মানুষের মৃত্যু হল? আগুনই বা লাগল কী ভাবে? এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বুধবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেনসিক টিম। স্টেট ফরেনসিক টিম পাঠানো হচ্ছে এ দিন। কী থেকে আগুন লেগেছে, তা বোঝার চেষ্টা করবেন তাঁরা। যদিও আস্ত বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, তবু সেখান থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট খোঁজার চেষ্টা করবেন তাঁরা।
জে পি নাড্ডার পাঠানো পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগ দেবেন বাংলার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংও। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, অর্জুন সিং আগামিকাল রামপুরহাটের ঘটনাস্থলে যাবেন। দিল্লি নেতৃত্বের পাঠানো পাঁচ সদস্য়ের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বুধবার রামপুরহাট পৌঁছালে, তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলেই দিল্লি থেকে ট্রেনে করে রওনা দিয়েছেন তিনি। বুধবার আসানসোল পৌঁছে সেখান থেকে ফের ট্রেন ধরে রামপুরহাট পৌঁছাবেন অর্জুন সিং।
বিস্তারিত পড়ুন : Bagtui Massacre: বুধবার রামপুরহাট যাচ্ছেন শুভেন্দু, দিল্লি থেকে রওনা দিয়েছেন অর্জুনও! রাজ্যের উপর চাপ বাড়াতে তৈরি বঙ্গ বিজেপি
পুলিশের সামনেই দরজা বাইরে থেকে ছিটকানি দেওয়া হয়েছিল, এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী। তারপর তালা মেরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনটাই অভিযোগ আলাউদ্দিন শেখ নামের ওই প্রত্যক্ষদর্শীর। তাঁর অভিযোগ, পুরো ঘটনাই পুলিশের সামনে করা হয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন : Bagtui Massacre: ‘পুলিশের সামনেই দরজায় তালা ঝুলিয়ে আগুন’, বিস্ফোরক দাবি প্রত্যক্ষদর্শীর
রামপুরহাট হত্য়াকান্ডে এবার রাজ্যে আসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বিজেপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল আসছে রাজ্যে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন চার অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাঠানো ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং ভারতী ঘোষ। মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।
বগটুই ‘হত্যাকাণ্ড’ নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। রাতের অন্ধকারে সাত থেকে আটটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এই নৃশংস ঘটনায় মারা গিয়েছেন অন্ততপক্ষে ১০ জন। এর মধ্যে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন বিক্ষোভ প্রতিবাদও করেন বিরোধী নেতারা। বিধানসভায় শিক্ষা বাজেট পেশের সময় বিবৃতি দিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিধানসভায় বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, রাজ্যের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার জন্য বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তিনি এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তিনি এদিন বিধানসভা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার কথাও জানিয়েছেন।
বিস্তারিত পড়ুন : Bagtui Massacre : ‘রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার রাজনৈতিক ষড়ষন্ত্র…,’ রামপুরহাটকাণ্ডে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস পার্থর
সোমবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ ‘খুন’ হন। রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ ভাদু শেখের বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিতদের বাড়িতে আগুন লাগে। প্রায় ১০-১২টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ। রাতেই অকুস্থলে এসে পৌঁছায় দমকল বাহিনী। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দমকল ছিল। আগুন নেভানোর পরেও মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একাধিক বাড়িতে ধোঁয়া দেখা গিয়েছে। সারাদিনে আর কী কী হল বগটুই গ্রামে?
বিস্তারিত পড়ুন : Bagtui Massacre: থমথমে গোটা গ্রাম, পোড়া লাশের গন্ধ! সারাদিন কী কী হল বগটুইয়ে?
দু’দশকের ব্যবধান। ছোটো আঙারিয়ার পরই তালিকায় যোগ হল বগটুইয়ের নাম। রাতারাতি বঙ্গ রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে গিয়েছে রামপুরহাটের অখ্যাত এই গ্রাম। সোমবার রাতে এই গ্রামের উপ প্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঠিক তার এক ঘণ্টার মধ্যেই চলে তাণ্ডব। ভাদু শেখের বাড়ির পাশেই একটি বাড়ি থেকে মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার হয় ৭ জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ।
বিস্তারিত পড়ুন: Bagtui Massacre: ধিক-ধিক করে জ্বলছে আগুন, নিঃশ্বাসে পোড়া গন্ধ, এ সব ছবি দেখেও কি শিহরিত হন না ‘ওঁরা’?
গোটা গ্রাম থমথমে। এক অজানা আতঙ্ক গ্রাম করেছে গোটা গ্রামকে। বগটুই গ্রামে এখন শুধুই লাশ পোড়া গন্ধ। এদিকে আগুনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে একাধিক তত্ত্ব খাঁড়া করে ইস্যুটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা দেখা গিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল শুরুতেই বলে দিলেন শর্ট সার্কিটের ঘটনা। রাজ্য পুলিশের ডিজি তো তদন্ত শুরুর আগেই বলে দিলেন অরাজনৈতিক বিষয়। মৃত্যুর পিছন যে কোনও রাজনীতি নেই, সেই বিষয়টাই তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, সকাল থেকে যে যে তত্ত্বগুলি উঠে এসেছে।
রামপুরহাটের বগটুই ১০ জনের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। হিংসার ঘটনা বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি। রাজ্যপালের সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করে এবার চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যপাল যা বলেছেন, তা ওই পদে থেকে বলা উচিত নয়। আগেই তৃণমূলের তরফে রাজ্যপালের মন্তব্যকে অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এবার সেই মন্তব্য নিয়ে সরব খোদ মমতা। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকাররে ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এই ধরনের মন্তব্য করে থাকেন রাজ্যপাল।
বিস্তারিত পড়ুন: Mamata Banerjee on Bagtui Massacre: ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে ঘটলে তো চুপ থাকেন’, রাজ্যপালকে চিঠি মমতার
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি, সঠিক তদন্তের বার্তা দিয়েছেন পুলিশকে। মঙ্গলবার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই টুইটে একটি ভিডিয় বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে রিপোর্টও তলব করেছেন তিনি।
Horrifying violence and arson orgy #Rampurhat #Birbhum indicates state is in grip of violence culture and lawlessness. Already eight lives lost.
Have sought urgent update on the incident from Chief Secretary.
My thoughts are with the families of the bereaved. pic.twitter.com/vtI6tRJcBX
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) March 22, 2022
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে কী ঘটেছিল, কী ভাবে আগুল লাগল, এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। আর তারপরই রিপোর্ট তলব করার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাংলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল আসবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন শাহ।
বিস্তারিত পড়ুন: Home Ministry on Bagtui Massacre: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের, রামপুরহাটে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে স্বরাষ্ট মন্ত্রক
দুর্ঘটনা নয়, আগুন লাগানো হয়েছিল। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের পুড়ে যাওয়া বাড়ি ও অকুস্থল পরিদর্শনের পর জানাল সিট। প্রাথমিক তদন্তের পর সিটের আধিকারিক সঞ্জয় সিং স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘দুর্ঘটনা নয়, আগুন লাগানো হয়েছিল’, রামপুরহাট ‘হত্যাকান্ডে’ জানিয়ে দিল সিট
বগটুইতে আগুনে মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে সকালেই টুইট করে কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। টুইটে লিখেছিলেন, ‘রামপুরহাটের আগুনের ঘটনায় রাজনীতি নেই।’ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই কুণাল ঘোষই বললেন, এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র।
বিস্তারিত পড়ুন: Rampurhat Case: ‘রাজনীতি নেই’ বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কুণাল বললেন, ‘বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’
প্রশ্ন থাকছে, যখন সোমবার রাতভর চলল তাণ্ডব, যে বাড়িতে ঝলসে মৃত্যু হল ৭ জনের, তার আশেপাশের বাড়ির সদস্যরা তখন কী করছিলেন? বাড়ি থেকে বেরিয়ে কি বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন? এই ঘটনায় কী-ই বা বলছেন তাঁরা? উত্তরটা কোনওক্ষেত্রেই ইতিবাচক নয়। অর্থাৎ যখন ঘটনাটি ঘটেছে, আশেপাশের বাড়ির কাউকেই সেসময় দেখতে পাওয়া যায়নি। এমনকি মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, অকুস্থলের গা লাগোয়া প্রত্যেকটা বাড়ির দরজায় তালা। প্রতিবেশীদের কেউ কেউ বলছেন…
বিস্তারিত পড়ুন: ‘অসুবিধা আছে’, পাশের বাড়ির ৭ জনকে ঝলসে মরতে দেখেও কীসের ভয়ে সিঁটিয়ে বগটুইয়ের মানুষ? বিস্ফোরক তথ্য
মর্মান্তিক এই ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, শর্ট সার্কিট থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। আর সে কথা উল্লেখ করেই এ দিন বিজেপি নেতা প্রশ্ন তোলেন, এরকম একটি ঘটনাকে কী ভাবে শর্ট সার্কিট বলে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে? বিজেপি নেতার আবেদন শুনে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
বিস্তারিত পড়ুন: Rampurhat Case: কেন অনুব্রত বলছেন ‘শট সার্কিট’? রামপুরহাট-কান্ডে এবার মামলা হাইকোর্টে
কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জোরাল হয়েছে অগ্নিসংযোগের অভিযোগই। যদিও এ তত্ত্ব মানতে নারাজ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ব্যাখ্যা, শর্ট সার্কিট থেকে এই ঘটনা ঘটেছে।
বিস্তারিত পড়ুন: Rampurhat Case: কীভাবে পুড়ে মারা গেলেন এতজন? অনুব্রতের তত্ত্ব, ‘শর্ট সার্কিট থেকে আগুন’
রামপুরহাট ‘হত্যাকান্ডে’র তদন্তে সিট গঠন করল রাজ্য। এই স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিমের মাথায় রয়েছেন এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহ। রয়েছেন ডিআইজি সিআইডি (অপারেশন) মিরাজ খালিদ ও আইডি ভরতলাল মিনা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ক্লোজ করা হয়েছে রামপুরহাটের আইসিকে। অপসারণ করা হয়েছে এসডিপিও সায়ন আহমেদকে। রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রির্পোট চেয়েছেন।
বিস্তারিত পড়ুন: SIT Investigation On Bagtui Massacre: রামপুরহাট ‘হত্যাকান্ডে’র তদন্তে জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নেতৃত্বে সিট গঠন রাজ্যের
ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপির দাবি, রামপুরহাট হত্যাকান্ডের জবাব দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধূলিসাৎ। বিধানসভায় মঙ্গলবার বিষয়টির উত্থাপন করেন বিজেপির শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি রামপুরহাট ইস্যুতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু স্পিকার তাতে কোনওভাবেই কর্ণপাত করছিলেন না। এই ঘটনা নিয়ে শঙ্কর ঘোষ বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব দাবি করেন। কিন্তু সেটিও শুনতে দেখা যায়নি স্পিকারকে। এরপরই ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
বিস্তারিত পড়ুন: Bagtui Murder Case Issue In Assembly: ‘মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে অবিলম্বে’, রামপুরহাট ‘হত্যাকান্ডে’ উত্তাল বিধানসভা
দমকল জানিয়েছে, ১০ জনের দেহ উদ্ধারের কথা। অনডিউটিটে তাঁরা সাতটি দেহ পেয়েছে। রাতে উদ্ধার হয়েছে তিনটি। তবে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, সাতজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন : Rampurhat Case: ‘এখনও অবধি সাতজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে’, জানালেন বীরভূমের পুলিশ সুপার
দুষ্কৃতীরা গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাতভর চলে বোমাবাজি। মঙ্গলবার দমকলের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনায় এখনও অবধি ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরমধ্যে সোমবার রাতেই তিনটি দেহ উদ্ধার হয় বলে খবর। বাকি সাতটি উদ্ধার হয় মঙ্গলবার।
বিস্তারিত পড়ুন: Rampurhat Crime: তৃণমূলের উপপ্রধান ‘খুন’, বগটুই গ্রাম থেকে উদ্ধার ১০ অগ্নিদগ্ধ দেহ
হোয়াইট হাউস থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতি বার্তা দিয়ে বাইডেন বলেন, “এই সংঘর্ষের জন্য ভয়ানক মূল্য চোকাতে হবে। ইতিমধ্যেই ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ রিফিউজি হয়ে গিয়েছেন। হয়তো রাশিয়া এরপরও তাদের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে। তবে এর জন্য যে ভয়ঙ্কর মূল্য দিতে হবে, তা এখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেন কোনওদিনই পুতিনের জন্য বিজয় হতে পারবে না। পুতিন হয়তো শহর দখল করতো পারবে, কিন্তু কোনওদিনই গোটা দেশের দখল নিতে পারবে না।”
বিস্তারিত পড়ুন: Joe Biden on Russia-Ukraine War: ‘ইউক্রেন দখল কোনওদিনও পুতিনের জন্য জয় হতে পারবে না’, রুশ প্রেসিডেন্টকে ‘বাস্তব’ দেখালেন বাইডেন