Locket Chatterjee: ‘নেশা করে মানুষকে বুঁদ বানিয়ে রেখে দেবে?’ মদের টেট্রাপ্যাক উদ্ধারে প্রশ্ন লকেটের
Lok Sabha Election: যখন এই ঘটনা ঘটে, সেই সময়েই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। পরিস্থিতি দেখে গাড়ি থামিয়ে নেমে আসেন লকেট। বিরক্ত হয়ে লকেট বলেন, "এসব যাচ্ছে এখন থেকে। মদের পেটি যাচ্ছে এখন। ভোটের সময় মানুষকে দেওয়ার জন্য? এরা কী ভেবেছে? নেশা করে মানুষকে বুঁদ বানিয়ে রেখে দেবে?"
পোলবা: ভোটের মুখে নাকা চেকিং চলাকালীন উদ্ধার প্রচুর পরিমাণে মদের টেট্রাপ্যাক। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পোলবার কোরোলায়। প্রায় কয়েক’শো টেট্রাপ্যাক মদ-সহ একটি গাড়িকে আটক করা হয়েছে। এদিন দুপুরে পোলবার কোরোলায় নাকা চেকিং চালাচ্ছিল পুলিশ। সেই সময়েই ধরা পড়ে গাড়িটি। পুলিশ গাড়ি আটকাতেই, সেই গাড়ি থেকে দু’জন নেমে ছুটে পালিয়ে যায়। চালক-সহ আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে যখন এই ঘটনা ঘটে, সেই সময়েই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। পরিস্থিতি দেখে গাড়ি থামিয়ে নেমে আসেন লকেট। বিরক্ত হয়ে লকেট বলেন, “এসব যাচ্ছে এখন থেকে। মদের পেটি যাচ্ছে এখন। ভোটের সময় মানুষকে দেওয়ার জন্য? এরা কী ভেবেছে? নেশা করে মানুষকে বুঁদ বানিয়ে রেখে দেবে? রাজ্য রসাতলে। শিক্ষা রসাতলে। চাকরি নেই। এসব দিয়ে ছেলেদের মাতাল বানিয়ে নেশা করিয়ে রেখে দেবে এরা? একজনকেও ছাড়া হবে না। পুলিশকে বলব, ভালভাবে নজর রাখুন।”
যদিও আটক হওয়া ওই গাড়ির চালকের দাবি, তিনি বিহারে যাচ্ছিলেন। তাঁর বাড়ি বিহারের দ্বারভাঙায়। চালকের দাবি, বিহারে একটি বিয়েবাড়ির জন্য তিনি মদ নিয়ে যাচ্ছিলেন। উল্লেখ্য, বিহার হল এমন একটি রাজ্য, যেখানে মদ নিষিদ্ধ। যদিও হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সন্দেহ, ভোটের মরশুমে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য এই মদ কাজে লাগানোর পরিকল্পনা ছিল। ঘটনাটি নিয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনকেও ফোন করে তিনি জানিয়েছেন বলে দাবি বিজেপি প্রার্থীর।
পুলিশ সূত্রে খবর,নাকা চেকিংয়ের সময় গাড়িটি আটকে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। সেই সময়েই মদ ধরা পরে। কোনও চালান দেখাতে না পারায়, তা বাজেয়াপ্ত করার কাজ চলছিল। তখনই ওই পথ দিয়ে যেতে গিয়ে বিষয়টি দেখে গাড়ি থামান লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এদিকে এই নিয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের বক্তব্য, ‘পুলিশ যেখানে অ্যাকশন নিচ্ছে, আমার মনে হয় সেখানে নাক না গলানোয় ভাল। আইনশৃঙ্খলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আমরা তার মধ্যে ঢুকব কেন? এরা আইন মানে না। তৃণমূলের এই অবস্থা নয়, যে মদ খাইয়ে ভোট করাতে হবে।’