Bikaner-Guwahati Express Train Accident: বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার নেপথ্যে ক্রমেই জোরাল হচ্ছে একটি তত্ত্ব, তদন্তকারীদেরও ভাবাচ্ছে সে বিষয়টি
Bikaner-Guwahati Express Train Accident: প্রশ্ন থাকছে আরও কয়েকটি বিষয় নিয়েও। যেমন, শীতে রেললাইনে সংকোচন প্রসারণ স্বাভাবিক ঘটনা। গ্যাংমানদের নজরদারি কী ছিল না? গুয়াহাটি বিকানির এক্সপ্রেসের সব বগি নিয়মিত পরীক্ষা হত?
জলপাইগুড়ি: যুদ্ধকালীন তত্পরতায় রাতভর চলেছে উদ্ধারকাজ। উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেলও। কিন্তু, বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কারণ কী? সেই নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। তবে উঠে আসছে একাধিক কারণ। অন্তর্তদন্তে সেদিকেই নজর টিভি নাইন বাংলার।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিকানের গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের নীচে থাকা ট্রাকশন মোটর রেল লাইনের উপরে পড়ে যাওয়াই কি এই দুর্ঘটনার সবচেয়ে বড় কারণ? তাই নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে । আধিকারিকরা এই কিছু বলছেন না। যদিও তাঁরা কিন্তু তদন্তে ট্রাকশন রেললাইনে পড়ে যাওয়া নিয়ে যথেষ্ট সন্ধিহান। এই বিষয়টির ওপরে তদন্তে জোর দেওয়া হচ্ছে।
আধিকারিকরা বারংবার এই জায়গা ঘুরে দেখছেন। কী কারণে এই রেল দুর্ঘটনা ঘটল? রেলওয়ে লাইন থেকে ১২টি কম্পার্টমেন্ট উল্টে পড়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এসব নিয়ে এখন তদন্ত হবে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের নেতৃত্বে।
প্রশ্ন থাকছে আরও কয়েকটি বিষয় নিয়েও। যেমন, শীতে রেললাইনে সংকোচন প্রসারণ স্বাভাবিক ঘটনা। গ্যাংমানদের নজরদারি কি ছিল না? গুয়াহাটি বিকানের এক্সপ্রেসের সব বগি নিয়মিত পরীক্ষা হত? কেন ওই ট্রেনে এলএইচবি কোচ লাগানো হয়নি? এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে রেলমন্ত্রককে।
শুক্রবার সকালেই জলপাইগুড়ির দোমহনিতে ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের সকলকেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে দুর্ঘটনা, তার তদন্তও শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণও। হাওড়া স্টেশন থেকে রেলমন্ত্রী বলেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনা। গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দেখা হবে কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল। আমি চেষ্টা করছি সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার। যান্ত্রিক ত্রুটি না অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত করার মতো অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। খুব দ্রুত এই তদন্ত শুরু হবে।”
বিকানের এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের, এমনটাই জানিয়েছেন নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার আনসুল গুপ্ত। তিনি এও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৩৬ জন আহতের খোঁজ মিলেছে। তার মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের তিনটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আহতদের বেশিরভাগই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিজনদের খোঁজে ভোর থেকেই হাসপাতালে তাঁদের আত্মীয়স্বজনরা ভিড় জমিয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে অনেকেই খুঁজে পাননি পরিজনদের। তাঁরা দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি চলে আসছেন জলপাইগুড়ি হাসপাতালে। বুক ফাঁটা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেকেই।