আজকাল ঘরে ঘরে বাড়ছে সুগার রোগীর সংখ্যা। ডায়াবেটিসের আর কোনও বয়স নেই। খুব ছোট বয়স থেকেই তা জাঁকিয়ে বসছে শরীরে। এর মূল কারণ হল আমাদের রোজকারের জীবনযাত্রা। ডায়াবেটিস মূলত ২ রকমের- টাইপ ১ এবং টাইপ ২।
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের মূল কারণ হল জিনগত। আর তাই পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবেটিস থাকলে সেখান থেকেও অনেকে আক্রান্ত হন। তবে বর্তমানে বেশিরভাগই এই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, খাওয়া-দাওয়া, অতিরিক্ত মানসিক চাপ সেখান থেকেও হতে পারে টাইপ ২ ডায়াবেটিস।
আর তাই সকলকেই বলা হয় বছরে অন্তত একবার রক্তপরীক্ষা করাতে। আর সেই রক্তপরীক্ষায় যদি সুগারের মাত্রা বেশি থাকে কিংবা মার্জিনে থাকে তাহলে কিন্তু সাবধান। আর রক্তে শর্করা বাড়তে থাকলে তার কিছু পূর্ব লক্ষণ থাকে। অনেকেই লক্ষণ জানেন না বলে তা এড়িয়ে যান। এই প্রিডায়াবেটিকই ডায়াবেটিসের সবচাইতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা।
যাঁদের রক্তপরীক্ষায় রিপোর্টে আসে প্রিডায়াবেটিক অবধারিত ভাবে ১০ বছরের মধ্যে তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সম্ভাবনা থেকে যায়। ফাস্টিং এর পর যদি রক্তে শর্করার মাত্রা ১১০ এর বেশি থাকে তখনই প্রিডায়াবেটিক বলে ধরে নেওয়া হয়। এছাড়াও খাওয়ার পর রক্ত শর্করার মাত্রা ১৭৫ মানেই ডায়াবেটিস হবেই।
আর তাই এই রকম সমস্যা হলে বা রিপোর্ট আসলে আগে থেকেই সচেতন হয়ে যেতে হবে। জীবন থেকে মিষ্টি একেবারেই ছেঁটে ফেলতে হবে। ক্যালোরি মেপে খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে রোজ ৩০ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে ওয়ার্কআউট করতেই হবে।
রোজ ঘুম থেকে উঠে মেথি ভেজানো জল খান। আগের রাতে একগ্লাস জলে এক চামচ মেথি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা ভাল করে ছেঁকে খেয়ে নিন। রোজ সকালে খালিপেটে এই জল খেতে পারলে সুগার কমবেই। এছাড়াও দারুচিনিও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাল কাজ করে। দারুচিনি গুঁড়ো করে তাই দিয়ে চা বানিয়ে খান। এতেও খুব ভাল কাজ হয়।
আমলকীর জুসও ডায়াবেটিসের জন্য ভাল। সকালে খালি পেটে একগ্লাস করে আমলকীর জুস খেতে পারলে ডিটক্সিফিকেশন ভাল হয়। শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন বেরিয়ে গেলে সুগার, কোলেস্টেরল থাকে নিয়ন্ত্রণে।