আজকাল অধিকাংশ মানুষই বয়সের আগে বুড়িয়ে যেতে শুরু করেন। শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। কোমর ব্যথা, পায়ে ব্যথা, উঠতে-বসতে অসুবিধে এসব আগে বয়স কালে হত। এখন ৩০ পেরোতে না পেরোতেই শরীরে জাঁকিয়ে বসছে একাধিক সমস্যা।
এর কারণ কিন্তু আমাদের রোজকারের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা। বড়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের কিছু অংশ দুর্বল হয়ে পড়ে। চামড়ার ভাঁড় পড়ে। হাড়ের ক্ষয় এসব খুবই স্বাভাবিক। পাশাপাশি ঘাটতি পড়ে এনার্জিতেও। অল্পেতেই যেন শরীর বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এছাড়াও ব্লাডপ্রেশার, হাইব্লাড সুগারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে।
তবে প্রথম থেকেইস যদি বেশ কিছু অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যাবে না। দুর্বলতা, ক্লান্তি, চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও পাবেন মুক্তি। আর তাই প্রথমেই পরিবর্তন আনতে হবে রোজকার ডায়েট এবং খাদ্যাভ্যাসে। সেই সঙ্গে মেটাবলিজম ঠিক রাখতে হবে। মেটাবলিজম কমে গেলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা হতে পারে।
বাদামের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, প্রোটিনের মত প্রয়োজনীয় পুষ্টি। সেই সঙ্গে বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস থেকে সুরক্ষা দেয়। হার্টের জন্যেও উপকারী।
প্রথমেই খাদ্য তালিকায় রাখুন গোটা শস্য। এর মধ্যে থাকে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার। যা আমাদের হজমে সাহায্য করে। হজম ভাল হলে একাধিক সমস্যা থাকে দূরে। হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি ছুঁতেও পারে না।
অনেকেই আজকাল মাছ খান না। পরিবর্তে ডিম, মাংস বেশি করে খান। কিন্তু মাছ এসবের চাইতে অনেক ভাল। মাছের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাট এবং ভিটামিন ডি। যা ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ থেকে রক্ষা করে। ত্বক ভাল রাখে। তারুণ্য বজায় রাখতেও মাছ ভীষণ রকম উপকারী।
মুসুর ডাল শরীরের জন্য ভীষণ রকম ভাল। মুসুর ডালের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি ৯। আছে ফোলেট। যে কারণে মুসুরডাল আমাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও হার্টের সমস্যা, ওবেসিটি থেকে দূরে রাখে। মুসুরের ডালে থাকে সেলেনিয়াম। এই খনিজ কিন্তু সব খাবারের মধ্যে থাকে না। যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।