নামে স্টারফুট হলেও এই ফলটিকে কেউ বিশেষ পাত্তা দেন না। গ্রাম বাংলায় গাছে গাছে ঝুলে থাকে এই ফল। পেকে পড়ে থাকলেও অনেকে খেতে চান না। শীতের দিনে সবচাইতে বেশি যে ফল পাওয়া যায় তা হল কামরাঙা
প্রাকৃতিক ভাবে এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যে কারণে এই ফল খাওয়া এত ভাল। শীতের দুপুরে কামরাঙাতে নুন লঙ্কা দিয়ে মেখে খেতে বেশ ভাল লাগে
কামরাঙার আচার, চাটনি এসব তো বানানো হয়। এবার বানিয়ে নিতে পারেন কামরাঙার ডাল। এই ডাল বানিয়ে নেওয়া যেমন সহজ খেতেও তেমন ভাল
এই ডালের সঙ্গে কচি ওলকপি ভাজা খেতেও খুব ভাল লাগে। শীতের বাজারে ওলকপি সবজিটিও অনেক আসে। তবে এমন অনেকেই আছেন যাঁরা ওলকপি খেতে জানেন না
কচি ওলকপি সরু কুচি করে কেটে ভেজেও খেতে পারেন। আবুর মত ঝিরি ঝিরি করে ওলকপি কুচিয়ে নিন। কামরাঙাও পাতলা স্লাইস করে কেটে নিতে হবে। এক একটা দেখতে স্টারের মত হবে
মুসুর ডাল ধুয়ে সেদ্ধ করতে বসান। এর মধ্যে নুন আর হলুদ দিতে ভুলবেন না। এরপর ডালের মধ্যে কেটে রাখা কামরাঙা গুলো দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার গ্যাসে কড়াই বসিয়ে সরষের তেল দিয়ে ওতে পাঁচফোড়ন, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে ডাল ঢেলে দিতে হবে
অন্য কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে কালোজিরে, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে ওলকপি দিন। স্বাদমতো নুন আর হলুদ দিয়ে নাড়তে থাকুন। ঢাকা দিয়ে রাখলেই ওলকপি সেদ্ধ হয়ে যাবে। নামানোর আগে একটু সরষের তেল ছড়িয়ে দিতে হবে
শীতের দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে এই কামরাঙার ডাল ও ওলকপি ভাজা দিয়ে খেতে খুবই ভাল লাগে। এমন সাধারণ তরকারি, শাক ভাজা, ডাল এসব খাবারের কোনও তুলনা নেই