Shitong: বার্ডওয়াচাদের কাছে এক অনবদ্য ঠিকানা উত্তরবঙ্গের এই গ্রাম!

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এই পাহাড়ি অফবিটের দূরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। কাছেই রয়েছে মংপু। সেখানে এই গ্রামের দূরত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার। আর এই পাহাড়ি গ্রামের নাম হল সিটং।

Shitong: বার্ডওয়াচাদের কাছে এক অনবদ্য ঠিকানা উত্তরবঙ্গের এই গ্রাম!
সিটং
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2021 | 3:53 PM

আর কয়েকদিন বাদেই শুরু হচ্ছে পুজো। অফিস থেকে একটা চারদিনের ছুটি ম্যানেজ করে নিয়েছেন। সুতরাং কাছাকাছিই কোথাও থেকে ছুটি কাটিয়ে আসলে মন্দ হয় না। অন্যদিকে, ব্যস্ত জীবন থেকে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কোথায় যাবেন এখনও ঠিক করতে পারছেন না?

আমরা আপনার জন্য এমন এক পাহাড়ি গ্রামের সন্ধান এনেছি, যা এই উত্তরবঙ্গেই অবস্থিত। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এই পাহাড়ি অফবিটের দূরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। কাছেই রয়েছে মংপু। সেখানে এই গ্রামের দূরত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার। আর এই পাহাড়ি গ্রামের নাম হল সিটং।

ছবির মত সাজানো পাহাড়ি গ্রাম সিটং। পাহাড়ের গায়ে মহানন্দা স্যাঞ্চুয়ারির অরণ্যভূমি। গ্রামে ঢুকতেই কংক্রিকেটের সেতুর নীচে বড় বড় পাথরের বোল্ডার। আর তারই ফাঁক দিয়ে বয়ে আসছে তিরতিরে পাহাড়ি নদী। এই পাহাড়ি নদীর নাম রিয়াং। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে সাজানো বাড়ি। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন বাক্স রাখা। এগুলোকে বাক্স বাড়ি বললেও খুব একটা ভুল হবে না। আর বাড়ির আনাচে কানাচে রয়েছে ফুলে ভরা গাছ। প্রতিটি বাড়ির লাগোইয়া জমিতে অরগ্যানিক ফসলের বাহার। আর এই অঞ্চলের বাসিন্দা মূলত লেপচারাই।

এই গ্রামে আপনার চোখ জুড়াতে পারে কমলালেবু। আর এই কারণেই এই গ্রামকে অনেকেই বলে অরেঞ্জ ভিলেজ। দার্জিলিংয়ের যে কমলালেবু জগত বিখ্যাত তার অর্ধেক উৎপাদিত হয় এই সিটংয়ে। পায়ে হেঁটে নিজের মত করে ঘুরে বেড়াতে পারেন এই পাহাড়ি গ্রামে। এই গ্রামে পাহাড়ের মাথায় মুকুটের মত শোভা পায় সুপ্রাচীন সুন্দর গির্জা। হাঁটতে হাঁটতে চলে যেতে পারেন সিটং পাহাড়ের ভিউ পয়েন্টে। সেখানেই রয়েছে সুন্দর চার্চ। ১২০ বছরের প্রাচীন এই গির্জা। এক সময় বাঁশের তৈরি গির্জাটি পুড়ে যায়। সম্প্রতি সিমেন্টের তৈরি করা হয়েছে। পাহাড়ের এই ওপর থেকে সিটং গ্রামের দৃশ্য আরও অপরূপ।

shitong

সিটংয়ে কমলালেবুর বাগান

সিটংয়ের অরণ্যে অচিন পাখিদের অবাধ আনাগোনা। বার্ডওয়াচাদের কাছে এক অনবদ্য ঠিকানা হল এই সিটং। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীরা রিয়াং নদীর পাড় ধরে মধ্য দিয়ে সহজেই পৌঁছে যেতে পারেন জঙ্গলের মধ্যে। পাহাড় ধাপে ধাপে নেমে আসছে ঝরনা। সিটংয়ের লেপচা অধ্যুষিৎ গ্রামে থাকার জন্য রয়েছে হোমস্টেও। তাদের আতিথেয়তা আর অরগ্যানিক খাবারের স্বাদ অনেকদিন থেকে যেতে পারে আপনার মনে। উদার প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে সিটংয়ের সেরা উপহার সহজ সরল এই সকল মানুষজনের আন্তরিক আতিথেয়তা।

সিটং থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে নামথিং পোখরি। চাইলে সেখানেও ঘুরে নিতে পারেন। এই পুকুরেই রয়েছে হিমালয়ান স্যালাম্যান্ডারদের বাস। এগুলি ছোট্ট গিরগিটির মত দেখতে লুপ্তপ্রায় প্রাণী। আজও এদের এখানে দেখতে পাওয়া যায়। খুব কাছেই ৩৫০ বছরের প্রাচীন লেপচাদের এক মাটির বৌদ্ধ গোম্ফা। সুতরাং দু দিনের জন্য অনাহাসে ঘুরে আসতে পারেন এই গ্রামে।

আরও পড়ুন: ব্রিটিশদের একসময়ের এই ক্যান্টনমেন্ট হয়ে উঠতে পারে আপনার প্রিয় ভ্রমণস্থান!

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এই পাহাড়ি গ্রামে ঘুম ভাঙে পাখিদের কলরবে!

আরও পড়ুন: এবার পুজোয় সোলো ট্রিপের জন্য যেতে পারেন পাইন বনে ঘেরা এই অফবিটে!