নরেন্দ্রপুর: বেসরকারি স্কুলে পড়াতেন দুই শিক্ষিকা। সেখান থেকেই দু’জনের আলাপ। তারপর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে উভয়ের মধ্যে। এর মধ্যে একজন আবার নিজের প্রেমিকের সঙ্গেও আলাপ পরিচয় করিয়ে দেন বান্ধবীর। কিন্তু তলে-তলে যে বান্ধবী ও তাঁর প্রেমিক এই চক্রান্ত করছে তা বুঝে উঠতে পারেননি। ফাঁকা ফ্ল্যাটে নিজের প্রেমিকের সঙ্গে বান্ধবীর অন্তরঙ্গ ভিডিয়ো তুলে বারংবার ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ। শেষে পুলিশি তদন্তে গ্রেফতার প্রেমিক ও ‘গুণধর’ শিক্ষিকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা দু’জনে। একজন থাকেন পঞ্চসায়র থানার এলাকায়। অন্যজন সার্ভেপার্ক থানা এলাকায়। ধৃত যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কলকাতা মেট্রোরেলের এক কর্মীর। যিনি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত মহিলাই নিজের প্রেমিকের সঙ্গে নির্যাতিতার আলাপ করান। তিন জনেই মাঝেমধ্যে নানান জায়গায় ঘুরতে যেতেন ও খাওয়া দাওয়া করতেন।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, অভিযুক্ত যুবতীর ইন্ধনে নির্যাতিতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন ওই যুবক। নির্যাতিতাও তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা বাড়িতে একাই থাকতেন। তার বাড়িতেই খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়। ঘটনার দিন ওই যুবক এবং নির্যাতিতার বান্ধবী দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। দুজনেই রাতে নির্যাতিতার বাড়িতে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। অভিযোগ, রাত্রিবেলা নির্যাতিতার সঙ্গে ওই যুবক শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। আর গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করেন যুবকের প্রেমিকা তথা নির্যাতিতার বান্ধবী। অভিযোগ, সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে অভিযুক্তরা নির্যাতিতার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা নেন। এছাড়া সোনার গহনাও হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতা মহিলার দাবি, ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরেও ফের ব্ল্যাকমেল করে টাকা চাইতে থাকেন তাঁরা। এরপরই নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের দারস্থ হন নির্যাতিতা। ঘটনার তদন্তে নেমে দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।