Weight Loss Tips: পুষ্টিবিদের মতে, যেটা খেতে ভাল লাগে, তার সঙ্গে কোনোরকমের বোঝাপড়া নয়!
সবুজ শাকসবজি খাওয়ার ব্যাপারে নিজেকে কখনও জোর করা উচিত না। যদি কোনও খাবার খেতে ইচ্ছে না হয় তাহলে সেই খাবার না খাওয়াই ভাল। জোর করে কোনও খাবার খেলে অনেক সময় তার বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
ওজন কমানোর চেষ্টায় আমরা সকলেই আছি। কখনও একটা ভাল ডায়েট, কখনও অনেকটা ব্যায়াম, কখনও যোগ ব্যায়াম করে থাকি আমরা এই চেষ্টায়। কেউ কেউ আবার সুইমিং, সাইক্লিংও করে থাকেন। কিন্তু, সব মিলিয়ে এই যাত্রাটা একেবারেই সহজ হয় না। কারণ এর জন্য এমন একটা কারণ দায়ী থাকে যার কথা আমরা সেভাবে ভাবি না। মানসিক স্বাস্থ্য। যদি ওজন কমানোর প্রক্রিয়া আমাদের কাছে একঘেয়ে হয়ে ওঠে, বা কোনও ডায়েট আমাদের খুব বিরক্তি সহকারে খেতে হয়, তাহলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া কিন্তু বিঘ্নিত হয়।
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার প্রিয় খাবারটি খাবেন। যেটা খেতে ভাল লাগে সেটা না খেতে পারলে তো আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ হয়তো হবেন, কিন্তু আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়বে। আর সুস্থ শরীরের জন্য আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। কিছু কিছু সময় মানুষ চরম বিরক্তির পর্যায়ে পৌঁছে যায় যখন, তখন ভুলভাল খাওয়াদাওয়া শুরু করে দেয়। সমস্যার শুরু হয় তখন থেকেই।
View this post on Instagram
বিখ্যাত পুষ্টিবিদ মামি আগরওয়াল এই সব প্রশ্নের উত্তর দেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি ওজন কমানোর কিছু মিথকে বাতিল করে দেন। পাশাপাশি তিনি ৮০/২০-র একটা নিয়ম সম্পর্কেও কথা বলেন। তাঁর ক্যাপশনে লেখা আছে, “আরো টেকসই উপায়ে আপনার স্বাস্থ্যের লক্ষ্য অর্জনের ৮০/২০ নিয়ম!”
তিনি মানুষকে আশ্বস্ত করে এই ভিডিয়ো শুরু করেন। তিনি বলেন, আমাদের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খাবারের মান আর ধরন পরিবর্তন করতে হবে। তারপরে তিনি ৮০/২০ ধারণাটি শুরু করেন। তিনি বলেন যে আপনি যদি ৮০ শতাংশ সময় পুষ্টিকর খাবার খান এবং ২০ শতাংশ সময়ে আপনার পছন্দের খাবার খান তাহলেও আপনি আপনার স্বাস্থ্যের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন। অর্থাৎ, ৮০ শতাংশ সময়ে আপনাকে ডায়েট মেনে চলতে হবে। ২০ শতাংশ সময়ে আপনি চাইলে কিছু এমন খাবার খেতে পারেন যা আপনার ডায়েট সমর্থন করে না।
তিনি আরও বলেন যে, সবুজ শাকসবজি খাওয়ার ব্যাপারে নিজেকে কখনও জোর করা উচিত না। যদি কোনও খাবার খেতে ইচ্ছে না হয় তাহলে সেই খাবার না খাওয়াই ভাল। জোর করে কোনও খাবার খেলে অনেক সময় তার বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাই, সুস্থ থাকার জন্য শুধু শারীরিক সুবিধা দেখলেই হবে না, নিজেকে মানসিকভাবেও ভাল রাখা প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন: Rare Genetic Disease: চিকিৎসায় সারে না, বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ লাগে এই বিরল রোগে
আরও পড়ুন: Frequent cramping: প্রতিরাতে পায়ের পেশিতে টান ধরে? এড়িয়ে গেলেই শরীরে বাসা বাধতে পারে মারাত্মক রোগ!