‘অপর্যাপ্ত তথ্যে’র কারণে ছাড়পত্র পেল না ভারত বায়োটেক-সিরাম ইন্সটিটিউটের করোনা টিকা

ছাড়পত্রের আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর সিরাম ইন্সটিটিউটের তরফে বলা হয়, "সরকারের কয়েকটি বৈঠক করা অতি সাধারণ একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া আরও এক-দুই সপ্তাহ চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।"

'অপর্যাপ্ত তথ্যে'র কারণে ছাড়পত্র পেল না ভারত বায়োটেক-সিরাম ইন্সটিটিউটের করোনা টিকা
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 09, 2020 | 7:23 PM

নয়া দিল্লি: করোনার ভ্যাকসিন পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক সপ্তাহ। অপর্যাপ্ত তথ্যের কারণে জরুরি ভিত্তিতে টিকা ব্যবহারে ছাড়পত্র পেল না সিরাম ইন্সটিটিউট (Serum Institute of India) ও ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)। দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাকেই বিশেষজ্ঞ কমিটি আরও তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

বুধবার সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)-র বিশেষজ্ঞ কমিটি তিন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা, ফাইজার (Pfizer), সিরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া (Serum Institue of India) ও ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)-র জরুরিভিত্তিক ছাড়পত্র (Emergency Approval)-র আবেদন বিবেচনা করার জন্য বৈঠকে বসে। তবে ভ্যাকসিনের সুরক্ষা ও কার্যকারীতার তথ্য অপর্যাপ্ত থাকায় সংশিষ্ট সংস্থাদুটিকে আরও প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

কমিটির তরফে জানানো হয়, ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র পাওয়া একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং এটি কেবল শুরু। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফেও জানানো হয়, কমিটি কেবল প্রস্তাব দিতে পারে, ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাবে কিনা, তার সিদ্ধান্ত নেবে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনেরাল অব ইন্ডিয়া, যা সংক্ষেপে ডিসিজিআই (DCGI) নামে পরিচিত।

আরও পড়ুন: বায়ু থেকে জল! অত্যাধুনিক আবিষ্কার আইআইটি গোয়াহাটির

ছাড়পত্রের আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর সিরাম ইন্সটিটিউটের তরফে বলা হয়, “সরকারের কয়েকটি বৈঠক করা অতি সাধারণ একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া আরও এক-দুই সপ্তাহ চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।”

পুনের সিরাম ইন্সটিটিউট অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগীতায় ‘কোভিশিল্ড’ (Covishield) তৈরি করেছে। গত ৬ ডিসেম্বর এই ভ্যাকসিনের জরুরি ভিত্তিক ব্যবহারের জন্য আবেদন জানায় ওই সংস্থা। পাশাপাশি ফাইজার সংস্থাও ভারতে ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য আবেদন জানায়। সোমবার সেই তালিকায় যোগ দেয় হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক। তাদের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ (Covaxin)-র জরুরিভিত্তিক ছাড়পত্রের জন্য আবেদন জানান তারা।

আরও পড়ুন: করোনা রোগীর বাড়িতে লাগানো যাবে না পোস্টার, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের