Unemployment: বেশি পড়াশোনা করলে কিন্তু চাকরি পাবেন না, অশিক্ষিত হলে সবথেকে ভাল! বলছে পরিসংখ্যান

International labour organisation report: চমকে দেওয়া তথ্য দিচ্ছে 'ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন'। তাদের মতে, ভারতে উচ্চ শিক্ষিত যুবকদের বেকারত্বের সম্ভাবনা, পড়াশোনা কম জানা বা অশিক্ষিতদের থেকে অনেক বেশি। কী বলছে তাদের পরিসংখ্যান, দেখে নিন এক ঝলকে।

Unemployment: বেশি পড়াশোনা করলে কিন্তু চাকরি পাবেন না, অশিক্ষিত হলে সবথেকে ভাল! বলছে পরিসংখ্যান
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2024 | 1:42 PM

নয়া দিল্লি: বাংলায় একটা প্রবাদ ছিল, ‘লেখাপড়া করে যে, গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে’। ছিল বলছি, কারণ এখন এই প্রবাদ ভুল হতে বসেছে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ভারতে যারা যত বেশি পড়াশোনা করছে, তাদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা তত কমছে। না আমরা বলছি না। এই চমকে দেওয়া তথ্য দিচ্ছে ‘ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন’। তাদের মতে, ভারতে উচ্চ শিক্ষিত যুবকদের বেকারত্বের সম্ভাবনা, পড়াশোনা কম জানা বা অশিক্ষিতদের থেকে অনেক বেশি। ভারতের শ্রমবাজার সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন একটি নতুন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ভারতে স্নাতক যুবদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ২৯.১ শতাংশ। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাস তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১৮.৪ শতাংশ। আর যারা লিখতে-পড়তে পারে না, তাদের মধ্যে বেকারত্বের হার মাত্র ৩.৪ শতাংশ।

অর্থাৎ, অশিক্ষিতদের তুলনায় স্নাতকদের মধ্যে বেকারত্বের হার প্রায় নয় গুণ বেশি, আর মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পাশদের বেকারত্বের হার ছয় গুণ বেশি। এই পরিসংখ্যানগুলি থেকে স্পষ্ট, ভারতে শ্রমশক্তির দক্ষতা এবং বাজারে যে চাকরির তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যে তীব্র অমিল রয়েছে। আর এই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে পিএইচডি করা সবজিবিক্রেতা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিওনের পদের জন্য আবেদন করেন পিএইচডি করা যুবকরা। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বলেছে, “ভারতে বেকারত্ব যুবকদের একটা প্রধান সমস্যা। বিশেষ করে মাধ্যমিক পাশ বা আরও উচ্চ শিক্ষিত যুবদের জন্য। যত সময় যাচ্ছে ততই এই সমস্যা তীব্র হচ্ছে।”

ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বলেছে, “ভারতে যুবদের মধ্যে বেকারত্বের হার এখন আন্তর্জাতিক স্তরের তুলনায় বেশি। নতুন শিক্ষিত যুবরা, যারা সদ্য শ্রমশক্তিতে প্রবেশ করছে, তাদের জন্য অ-কৃষি খাতে যথেষ্ট লাভজনক চাকরি তৈরি করতে পারেনি ভারতীয় অর্থনীতি। উচ্চ এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের হারেই এর ছাপ দেখা যাচ্ছে।”

এই প্রতিবেদনে সবই নেতিবাচক, তা নয়। দেখা যাচ্ছে, ২০০০ সালে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ ভারতীয়দের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৮৮.৬ শতাংশ। ২০২২ সালে বেকারত্বের হার নেমে এসেছে ৮২.৯ শতাংশে। তবে, এর মধ্যেও শিক্ষিত যুবদের বিপদের ছবিটা ধরা পড়েছে। ২০০০-এ শিক্ষিত যুবদের মধ্যে কর্মহীন ছিলেন ৫৪.২ শতাংশ। ২০২২-এ তা বেড়ে হয়েছে ৬৫.৭ শতাংশ। পুরুষদের থেকেও মহিলাদের ছবিটা আরও খারাপ। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষিত যুবদের মধ্যে পুরুষদের সংখ্যা ৬২.২ শতাংশ। আর মহিলাদের ৭৬.৭ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন আরও জানিয়েছে, সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতেই শ্রমশক্তিতে মহিলাদের যোগদানের হার সবথেকে কম, প্রায় ২৫ শতাংশ।

আরও দেখা গিয়েছে, গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বেকারত্ব বেশি শহরাঞ্চলে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তথাকথিত ‘গিগ জব’, অর্থাৎ, ফুড ডেলিভারি এজেন্টদের মতো অস্থায়ী এবং কম বেতনের কর্মসংস্থানের পরিমাণ বাড়ছে ভারতে। এটা বিপদের বিষয় বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন। এই ধরনের কাজ, নিয়মিত কর্মী এবং ‘সেল্ফএম্লয়েড’, অর্থাৎ, স্ব-নিযুক্ত কর্মীদের মধ্যে পার্থক্য ঘুচিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে, কর্মীদের সুস্থতা এবং কাজের সুস্থ পরিবেশ নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।