Mars Quake: মঙ্গলগ্রহে সবচেয়ে তীব্র কম্পন, সিসমোমিটারে মাত্রা ৫, কী বলছেন বিজ্ঞানীরা

Mars Quake: পৃথিবীতে ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫ হলে তাকে এমন কিছু বিধ্বংসী কম্পন বলা হয় না। কিন্তু মঙ্গলগ্রহের ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্য।

Mars Quake: মঙ্গলগ্রহে সবচেয়ে তীব্র কম্পন, সিসমোমিটারে মাত্রা ৫, কী বলছেন বিজ্ঞানীরা
ছবি প্রতীকী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2022 | 1:28 PM

ফের কম্পন অনুভূত হয়েছে মঙ্গলগ্রহে। যদিও এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও লালগ্রহে কম্পন অনুভূত হয়েছে বেশ কয়েকবার। এবারের কম্পনের তীব্রতা বা মাত্রা রেকর্ড করেছে মঙ্গলগ্রহে থাকা InSight Lander। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এ যাবৎ সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে এবার, তীব্রতা ৫। গত ৪ মে মঙ্গলগ্রহে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। লালগ্রহে অনেকদিন ধরেই রয়েছে InSight Lander। মঙ্গলের বুকে কান পেতে কম্পন শোনা এর অন্যতম কাজ। আর সেই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই এতদিনের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী Mars Quake অনুভূত হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলগ্রহে একদিনকে বলা হয় Martian day বা sol। ইতিমধ্যেই মঙ্গলগ্রহে ১২২২ Martian day পার করেছে এই InSight Lander। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করেছিল এই spacecraft। এর আগে গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৫ অগস্ট মঙ্গলগ্রহে সবচেয়ে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছিল। রেকর্ড করার পর কম্পনের মাত্রা দেখা গিয়েছিল ৪.২। এবারের কম্পনের মাত্রা তার থেকে বেশ অনেকটাই বেশি।

Jet Propulsion Laboratory মঙ্গলের বুকে InSight Lander-কে পরিচালনা করে। এই Jet Propulsion Laboratory-র তরফে জানানো হয়েছে যে মঙ্গলগ্রহের ক্রাস্ট, ম্যান্টেল এবং কোর অঞ্চলে থাকা উপাদানের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত বা প্রতিফলিত হয় কম্পন তরঙ্গ। এইসব তরঙ্গ এমনভাবে পরিবর্তিত হয় যে সিসমোলজিস্টরা এই পর্যায়গুলির গভীরতা এবং গঠন উপাদানের ব্যাপারে গবেষণা করতে পারে। আর বিজ্ঞানীরা যত বেশি করে মঙ্গলগ্রহের গঠন সম্পর্কে অবগত হবেন ততই পৃথিবী এবং চাঁদের বা অন্যান্য রুক্ষ পাথুরে জগত সম্পর্কে তাঁদের ধারণা স্পষ্ট হবে।

মঙ্গলগ্রহের কম্পন

পৃথিবীতে ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫ হলে তাকে এমন কিছু বিধ্বংসী কম্পন বলা হয় না। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মাঝে মাঝেই এই তীব্রতার কম্পন অনুভূত হয়। কিন্তু মঙ্গলগ্রহের ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্য। লালগ্রহে কম্পনের তীব্রতা বা মাত্রা ৫ হওয়ার অর্থ প্রায় সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যাওয়া। বিজ্ঞানীরা InSight মিশনের ক্ষেত্রে এই সর্বোচ্চ পর্যায়ের কম্পনই অনুভব করবেন বলে আশা করেছিলেন। আর সেটাই বাস্তবে হয়েছে। বর্তমানে InSight মিশনের দল নতুন কম্পনের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য অনুসন্ধান চালাচ্ছে। কোথায় কম্পনের উৎস ছিল, ঠিক কোন এলাকায় এই কম্পন অনুভূত হয়েছে, এই কম্পনের মাধ্যমে মঙ্গলগ্রহের অভ্যন্তরের বিষয়ে কী কী জানা যাচ্ছে— এইসবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বর্তমানে।

InSight মিশনের অন্যতম প্রধান ব্রুস ব্যানেরডিট জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে থেকে মঙ্গলগ্রহের বুকে সিসমোমিটার নিয়ে অপেক্ষা করছেন তাঁরা। কবে একটা বড় কম্পন হবে এবং তা রেকর্ড করা হবে, সেটাই ছিল মূল লক্ষ্য। আপাতত লালগ্রহের বুকে হওয়া সবচেয়ে তীব্রর কম্পন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এর মাধ্যমে মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে নতুন তথ্য জানা যাবে যা ভবিষ্যতেও কার্যকরী হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।