Baranagar: এক ছাত্রীর সঙ্গেই ঘনিষ্ঠতা, বরানগরে ডাক্তারি ছাত্রের মৃত্যুতে এবার অন্য তত্ত্ব
Baranagar: বরাহনগরে বিশেষভাবে সক্ষমদের হাসপাতালের হস্টেলে প্রিয়রঞ্জন নামে ওই ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
উত্তর ২৪ পরগনা: বরাহনগরে বিশেষভাবে সক্ষমদের হাসপাতালের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। হস্টেলের ছাত্রের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে অন্য তত্ত্ব উঠে আসছে। জানা যাচ্ছে, কলেজেরই এক ছাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল প্রিয়রঞ্জন সিংয়ের। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছেন, ওই ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা নিয়েও মানসিক অবসাদ ছিল। পরিবারের তরফে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, আরও ৯ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। প্রথমে পরিবারের তরফে র্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। কিন্তু সেই অভিযোগ এফআইআর-এ উল্লেখ নেই। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, প্রিয়রঞ্জন র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন, তবে সেটা ৫-৬ মাস আগেকার ঘটনা। সে সময় কলেজের কয়েকজন ছাত্র সাসপেন্ড হয়েছিলেন। তবে এবারের ঘটনায় ব্যক্তিগত কোনও কারণেই প্রিয়রঞ্জন মানসিক অবসাদে ছিলেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রিয়রঞ্জনের বাড়িতেও একটা সমস্যা ছিল। সেটা নিয়েও মানসিক চাপ ছিল। মন খারাপে পাশে ছিলেন কলেজের পাঁচ-ছজন সিনিয়র। তাঁদের কাছেই ঋণী হয়ে থাকল, বলে সুইসাইড চিঠিতে লিখেছে ওই ছাত্র।
এদিকে মঙ্গলবারের পর বুধবারও ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল বরাহনগরে বিশেষভাবে সক্ষমদের হাসপাতাল চত্বর। গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। পরিষেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের। এক ছাত্রীর বক্তব্য, “যখন প্রিয়রঞ্জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল, তখনও ওর শরীরে প্রাণ ছিল। কিন্তু এখানে একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার পর্যন্ত ছিল না। আমাদের সাহায্য করার মতো এখানে কেউ ছিলেন না। ওকে বাইকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল। ততক্ষণে সব শেষ। আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তবে সেগুলি পূরণের এখনও কোনও উদ্যোগ আমরা দেখতে পাইনি।”
প্রসঙ্গত, বরাহনগরে বিশেষভাবে সক্ষমদের হাসপাতালের হস্টেলে প্রিয়রঞ্জন নামে ওই ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সোমবার গভীর রাতে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থাতেই উদ্ধার করেন বাকি আবাসিকরা। তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাকি আবাসিকরা। বিশেষভাবে সক্ষমদের হাসপাতালে আপৎকালীন পরিষেবা নেই কেন? কেন নেই আপত্কালীন অ্যাম্বুল্যান্স? প্রশ্ন তুলে হাসপাতালের গেট বন্ধ রেখে চলছে বিক্ষোভ।