Malda: শ্মশান, কবরস্থান যাওয়ার রাস্তাই দখল? TMC কর্মীর কীর্তিতে অবাক বিধায়কও
Malda: মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের চাঁচল বিধানসভার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বসতপুর গ্রামে। গ্রামে একদিকে কবরস্থান, অন্যদিকে শ্মশান। সেচদফতরের জায়গায় ছিল কাচা রাস্তা। বাসিন্দারা শবদেহ কবরস্থান ও শ্মশানে নিয়ে যেতেন এই রাস্তা দিয়েই।

মালদহ: সরকারি জায়গা দখল করার অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বন্ধ শ্মশান এবং কবরস্থান যাওয়ার রাস্তা, মরা মহানন্দায় কোমর সমান জলে নেমে মরদেহ নিয়ে যেতে হল এলাকাবাসীদের। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল এলাকায়। মরদেহ নিয়ে যেতেও দুর্ভোগের চিত্র এই রাজ্যে। তৃণমূলের মদতে জায়গা দখল অভিযোগ তুলেছে বিজেপির। খতিয়ে দেখার আশ্বাস তৃণমূল বিধায়কের। শুরু হয়েছে তরজা।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের চাঁচল বিধানসভার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বসতপুর গ্রামে। গ্রামে একদিকে কবরস্থান, অন্যদিকে শ্মশান। সেচদফতরের জায়গায় ছিল কাচা রাস্তা। বাসিন্দারা শবদেহ কবরস্থান ও শ্মশানে নিয়ে যেতেন এই রাস্তা দিয়েই। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী সাত্তার আলি সেচ দফতরের ৫০ শতক জায়গা দীর্ঘদিন দখল করে চাষবাস করছেন। সেজন্য তিনি কবরস্থান ও শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরে আঙ্গারমুনি গ্রাম হয়ে কবরস্থান ও শ্মশান যেতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার সকালে বসতপুর গ্রামের বধূ সোলো বিবির মৃত্যু হয়। রাস্তা বন্ধ থাকায় গ্রামবাসীরা মরা মহানন্দা নদীর কোমর সমান জল পেরিয়ে কবরস্থানে নিয়ে যান। সেচদফতরের জায়গা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে সাত্তারের পরিবারের একাধিকবার গন্ডগোল হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা, ব্লক প্রশাসন, সেচদফতর ও জেলাশাসকের কাছে গণসাক্ষর করে দাবিপত্র দেওয়া হয়ে ছিল। তারপর সেচদফতর থেকে পাঁচমাস আগে লোক এলেও মাপ নেওয়া অসম্পূর্ণ রেখে চলে যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনকে বারবার বললেও হয়নি কোনও সুরাহা। অন্যদিকে অভিযুক্ত সেচ দফতরের জায়গা দখলের কথা স্বীকার করলেও রাস্তা বন্ধ করার কথা মানতে নারাজ। এদিকে এই চিত্র সামনে আসতেই জেলা বিজেপি সম্পাদক রূপেশ আগরওয়ালের দাবি, “এটাই এই রাজ্যের উন্নয়নের বেহাল দশা।যেখানে মরদেহ নিয়ে যেতেও এই দুর্ভোগ। তৃণমূলের মদত আছে বলেই সরকারি জায়গা দখল হয়ে রয়েছে।”
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চাঁচল বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “এই নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত পদক্ষেপ হবে।”
