Psyllium Husk: পেট পরিষ্কার রাখতে যেমন সাহায্য করে তেমনই কিন্তু ওজন কমাতেও সাহায্য করে ইসবগুল! জানতেন?

Gastrointestinal Health: পেট পরিষ্কার থাকলে যেমন অন্যান্য রোগের সম্ভাবনা কমে তেমনই কিন্তু শরীরও সুস্থ থাকে। খিদে কম পায়, খাবার কম খেলেই ওজন ধরে তাড়াতাড়ি। ইসবগুল যেহেতু অনেকখানি জল শোষণ করে রাখে তার জন্যই পেট ঠান্ডা থাকে

Psyllium Husk: পেট পরিষ্কার রাখতে যেমন সাহায্য করে তেমনই কিন্তু ওজন কমাতেও সাহায্য করে ইসবগুল! জানতেন?
ইসবগুলে যে ভাবে ওজন রাখবেন নিয়ন্ত্রণে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2021 | 8:07 AM

ওজন কমানোর জন্য এখন সকলেই নানা রকম চেষ্টা করছেন। কোভিড পরবর্তী সময়ে সকলেই এখন স্বাস্থ্য বিষয়ে ভীষণই সচেতন। কোভিডের সময় থেকেই বিশেষজ্ঞরা বরাবর জোর দিয়ে এসেছেন খাওয়া দাওয়ার উপর। সেই সঙ্গে অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার পরামর্শ। তবে তাঁরা কিন্তু বারবারই জোর দিয়েছেন প্রোটিন খাওয়ার উপরে। ঘরোয়া খাবারের উপরে। তবে লকডাউনে চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি থাকতে থাকতে সকলেই হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। আর সেখান থেকেই জীবনে অন্যরকম কিছু খুঁজে পেতে প্রচুর মানুষ মন দিয়েছিলেন হেঁশেলে। যিনি সামান্য চা-ও বানাতে পারতেন না তিনিই দক্ষ হয়ে উঠেছেন বেকিং-এ।

আবার চাইনিজ থেকে কন্টিনেন্টাল নিজের রান্নাঘরেই বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। এসব কিছুর জন্য যখন ওজন বেড়েছে মাত্রাছাড়া তখনই তাক ভরাতে শুরু করেছেন ওটস, ব্রাউন রাইস, মুজলিতে। বন্ধ চিনি, মিষ্টি, ময়দা। কিন্তু সব সময় ওটস খেলেই যে ওজন কমবে এমন ভাবার কিন্তু কোনও কারণ নেই। ব্রাউন রাইসও স্বাদের জন্য অনেকেই মন থেকে খেতে পারেন না। প্রায় সব বাঙালি বাড়িতেই সাধারণ সমস্যা হল গ্যাস-অম্বল থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য। আর তাই ইসবগুল কিন্তু পেটরোগা বাঙালির বাড়িতে পাবেনই। পেট পরিষ্কার রাখার সঙ্গে সঙ্গে ওজন কমাতেও সাহায্য করে ইসবগুল।

ইসবগুলের মধ্যে দ্রবণীয় ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। ইসবগুলের পোশাকি নাম হল সাইলিয়াম হাস্ক (Psyllium Husk)। প্লান্টাগো ওভাটার গাছের বীজ থেকে পাওয়া যায় এই ভুসি। সাধারণ ভাবে রেচনে সাহায্য করে ইসবগুল। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও খুব ভাল কাজ করে। শরীরের সব অন্ত্রও ঠিকমত কাজ করে, যদি রোজ খেতে পারেন ইসবগুলের ভূষি।

ইসবগুল অনেকখানি জল শোষণ করে, সেই সঙ্গে গন সান্দ্র যৌগ- যা হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল থেকে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রনেও সাহায্য় করে ইসবগুল। যেহেতু ইসবগুল অনেকখানি জল ধরে রাখে তাই আমাদের পেটেও একটা জলের স্তর তৈরি হয়। যার জন্য আমাদের খিদে ভাব কম হয়। আর প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে অন্ত্রের মধ্যে জল চলাচল করতে পারে ঠিকমত। এই সব কিছুর জন্য খিদে কম পায়। কারণ হল এই ভূসি। যা দীর্ঘক্ষণ পেটে থাকে। ফলে ওজন কমে তাড়াতাড়ি।

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল স্বাস্থ্যর জন্যও কিন্তু ভাল ইসবগুল। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করার মত করে শরীরকে তৈরি করে। শরীরকে শক্তি দেয়, অনেক বেশি কর্মক্ষম করে তোলে। আর এসবই ওজন কমার অন্যতম কারণ।

ইসবগুল কোলনকে পরিষ্কার রাখে। আর পেট পরিষ্কার হলেই কিন্তু চর্বি জমার সম্ভাবনা অনেকখানি কমে যায়। এমনকী চর্বি গলাতেও সাহায্য রয়েছে ইসবগুলের।

তবে আপনি যদি দীর্ঘদিন কোনও শারীরিক সমস্যায় ভোগেন কিংবা যদি এ রকম হয় যে আপনি সদ্য মা হতে চলেছেন তবে কিন্তু অবশ্যই দূরে থাকবেন ইসবগুল থেকে।

আরও পড়ুন: vegetarian: কেন ভারতের অধিকাংশ মানুষ এখনও মাংসের তুলনায় বেশি নিরামিষ আহারের দিকে ঝোঁকেন?