Chandigarh mayor poll: ৮ ভোট বাতিল, প্রথমেই হার ‘ইন্ডিয়া’র; কর্মীদের অভিনন্দন নাড্ডার

Chandigarh mayor poll: নিছক মেয়র নির্বাচন হলেও, গোটা ভারতের চোখ ছিল এই নির্বাচনের দিকে। একে বলা হচ্ছিল ইন্ডিয়া জোটের 'লিটমাস টেস্ট'। একসঙ্গে লড়েও বিজেপিকে আটকাতে পারল না আপ-কংগ্রেস। জেতার পরই বিজেপি কর্মীদের অভিনন্দন জানালেন নাড্ডা।

Chandigarh mayor poll: ৮ ভোট বাতিল, প্রথমেই হার 'ইন্ডিয়া'র; কর্মীদের অভিনন্দন নাড্ডার
জয়ের পর বিজেপির কাউন্সিলররাImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jan 30, 2024 | 3:48 PM

চণ্ডীগড়: নেহাতই এক পুরসভার মেয়র নির্বাচন। তাতে জয় পাওয়ায় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি), চণ্ডীগড়ের বিজেপি নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানালেন খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আসলে, নিছক মেয়র নির্বাচন হলেও, গোটা ভারতের চোখ ছিল এই নির্বাচনের দিকে। একে বলা হচ্ছিল ইন্ডিয়া জোটের ‘লিটমাস টেস্ট’। আসলে, চণ্ডীগড় পুরসভার মেয়র নির্বাচনে যৌথভাবে লড়েছিল আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস। এই প্রথম আসন ভাগাভাগি করেছিল ইন্ডিয়ো জোটের দুই শরিক দল। কিন্তু, ইন্ডিয়া জোটের সময়টা এখন মোটেই ভাল যাচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একা লড়া, ভগবন্ত মানের একা লড়া, নীতীশ কুমারের পাল্টি। এবার চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করেও হারতে হল ইন্ডিয়া জোটকে। তাই এই নির্বাচনের ফল, ইন্ডিয়া জোট নিয়ে উৎসাহে আরও ভাটার টান আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চণ্ডীগড় বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। সেখানে গেরুয়া শিবিরকে চ্যালেঞ্জ করতে জোট কংগ্রেস এবং আপ। মেয়র পদের জন্য প্রার্থী দিয়েছিল আপ। তাঁকেসমর্থন করেছিল কংগ্রেস। আর, সিনিয়র ডেপুটি মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র পদে জন্য প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস, যাকে সমর্থন করেছিল আপ। তবে, কার্যক্ষেত্রে জোটে বিশেষ লাভ হয়নি। জয়ের পরই, সোশ্যাল মিডিয়ায় জেপি নাড্ডা লেখেন, “মেয়র নির্বাচনে জয়লাভের জন্য বিজেপির চণ্ডীগড় শাখাকে অভিনন্দন। প্রধানমন্ত্রীর শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি রেকর্ড উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে। ইন্ডি জোট এখানে তাদের প্রথম নির্বাচনী লড়াই করেছিল। তারপরও তারা বিজেপির কাছে হেরেছে। এর থেকেই স্পষ্ট, না তাদের জোটের পাটিগণিত কাজ করছে, না তাদের রসায়ন।”

তবে, বিজেপির এই জয় প্রশ্নাতীত নয়। মেয়র নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী মনোজ কুমার সোনকার মোট ৩৬টি ভোটের মধ্যে ১৬টি ভোট পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রাক্তন সদস্য তথা সাংসদ কিরন খেরের ভোট রয়েছে। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী কুলদীপ সিং পেয়েছেন ১২টি ভোট। তিনি অবশ্য আরও ৮টি ভোট পেয়েছিলেন। যেগুলিকে অবৈধ ঘোষণা করে বাতিল করা হয়েছে। ৮টি ভোট বাতিল হতেই আপ-কংগ্রেসের যৌথ প্রার্থী কুলদীপ সিং পরাজিত হন। এই ৮টি ভোট অবৈধ ঘোষণা করায় পৌরসভা কক্ষে তীব্র বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আপ পরে জানিয়েছে, ৮টি ভোট অবৈধ করার সিদ্ধান্তকে তারা পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করবে।