অনেক রকম ডায়েটের নাম তো শুনেছেন। তবে ওজন কমাতে নাকি সবচেয়ে বেশি কাজ দেয় ‘মিলিটারি ডায়েট’। এই ডায়েটের ক্ষেত্রে যিনি ডায়েট করছেন, তাঁকে তিনদিনের একটি ডায়েট প্ল্যান মেনে চলতে হয়। সঠিক ভাবে সব নিয়ম মানলেই হাতেনাতে ফল পাওয়া যাবে।
মিলিটারি ডায়েট আসলে কী?
এই ডায়েটের ক্ষেত্রে বলা হয়, মাত্র তিনদিনেই নাকি কমবে আপনার ওজন। মিলিটারি ডায়েট প্ল্যান মেনে চললে এক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে চার কেজি ওজন কমাতে পারবেন একজন। এই ডায়েট করতে চাইলে আহামরি কিছু খরচও হবে না। অত্যন্ত দামি খাবারদাবার কিংবা ফুড সাপ্লিমেন্ট থাকে না এই ডায়েট প্ল্যানে।
এই ডায়েট প্ল্যানের নামেই রয়েছে ‘মিলিটারি’। অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে, এই ডায়েটের সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত রয়েছে সেনাবাহিনী। মূলত, নিউট্রিশনিস্টরা সেনা জওয়ানদের সঠিক ওজন বজায় রাখার জন্য এই ডায়েট প্ল্যান মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। খুব কম সময়ে অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে সঠিক ওজন এবং শেপে ফিরে আসা যায় মিলিটারি ডায়েটের সাহায্যে। একে অনেকে আইসক্রিম ডায়েটও বলে থাকেন।
তবে সকলের ক্ষেত্রে এই ডায়েট কাজ করবে এমনটা নয়। তাই নিউট্রশনিস্টের পরামর্শ ছাড়া হঠাৎ করে মিলিটারি ডায়েট করতে শুরু করবেন না।
কীভাবে কী করবেন?
তিনদিন ধরে এই ডায়েট প্ল্যান মেনে চলতে হবে। বাকি চারদিন রয়েছে ছাড়। এক সপ্তাহ মিটে গেলে ফের নতুন সপ্তাহে নতুন ভাবে শুরু করতে পারেন মিলিটারি ডায়েট। মূলত এই ডায়েটের ক্ষেত্রে শরীরে যেন কম ক্যালোরি প্রবেশ করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই ডায়েটের ক্ষেত্রে এমন খাবারদাবার থাকে যার প্রভাবে ফ্যাট বার্ন হয়। পাশাপাশি মেটাবলিজম শুরু হয়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। সপ্তাহের যে চারদিন মিলিটারি ডায়েট করবেন না, সেই ক’দিন ১৩০০-১৫০০ ক্যালোরি প্রতিদিন শরীরে যাওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রোটিন এবং শাকসবজির পরিমাণ বেশি থাকবে। কমে যাবে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ।
অবশ্যই যেগুলো মাথায় রাখবেন-
১। মিলিটারি ডায়েট মেনে চলার সময় প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।
২। এড়িয়ে চলুন আলাদা করে চিনি মেশানো হেলথ ড্রিঙ্ক বা ফ্রুট জুস। চিনির পরিমাণ একেবারেই কমাতে হবে। প্রয়োজনে হার্বাল টি খেতে পারেন সামান্য মধু দিয়ে।
৩। ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে লিন প্রোটিন এবং শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।
৪। নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ ছাড়া মিলিটারি ডায়েট করতে শুরু করলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
৫। অনেকদিন একটানা এই ডায়েট মেনে চললে, শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি হতে পারে। যার ফলে, শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন রোগ। আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। অপুষ্টি দেখা দিতে পারে। ওজন হয়তো কমে যাবে, তবে সেই সঙ্গে দেখা দেবে অন্যান্য অনেক সমস্যা।