মুজ়ফফরনগর: সাত বছরের নাবালককে অপহরণ। সেই অপহরণকাণ্ডে নাম জড়াল তারই দুঃসম্পর্কের দাদার। ঘটনার পরই পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয় থানায়। অবশেষে সাত বছরের নাবালককে উদ্ধার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাকে উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নাবালককে অপহরণ করার মাস্টার মাইন্ড ছিল মোহিত নামে একজন। পুরো ঘটনায় মোহিতকে সাহায্য করেছিল দীপক ও সুনীল কুমার। এ দিন দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াইয়ের পর মোহিত, দীপক, সুনীলদের আস্তানা থেকে বংশ নামে সাত বছরের ওই নাবালককে উদ্ধার করে পুলিশ।
দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর দু’জন পুলিশ আধিকারিক ও অপহরণকারীরা আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্টেশন হাউস অফিসার অনিল কাপারভান জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা গ্রামের বাইরে একটি ইটভাটায় ওই ছেলেটিকে লুকিয়ে রেখেছিল অপহরণকারীরা। পুলিশের এই উদ্ধার কার্যের পর আপ্লুত বংশের পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই তিন অপহরণকারী রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় বংশকে। স্বাভাবিক ভাবেই এরপর অস্থির হয়ে ওঠেন বংশের বাবা সোনু। এরপর তাঁর কাছে আসে মুক্তিপণের ফোন। অপহরণকারীরা বংশের বাবা সোনুর কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। পুলিশ জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণ চেয়ে ফোন করেছিল বংশের দুঃসম্পর্কের দাদা মোহিত।
মুক্তিপণের ফোন পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন সোনু। এরপর ছোট্ট বংশকে উদ্ধার করতে একটি দল পাঠায় নিউ মান্ডি থানা। সেই দলই গুলির লড়াই করে কার্যত অপহরণকারীদের ডেরা থেকে ছিনিয়ে আনে বংশকে। বংশ বাড়ি ফেরায় এখন খুশির জোয়ার তার পরিবারে। ছেলেকে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাবা-মা।
সম্পত্তির লোভে ভাই-বোনকে অপহরণ, খুনের চেষ্টা কিংবা খুনের ঘটনা প্রায়শই শিরোনামে উঠে আসে। বিভিন্ন রাজ্যের থানাগুলিতেই এই ধরনের ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়ে। বেশ কয়েক বছর আগে বাংলায় এরকমই একটি ঘটনা হইচই ফেলে দিয়েছিল। ২০১৩ সালের অক্টোবরের ঘটনা। দুর্গাপুরের বুদবুদের ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়াকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। ওই নাবালক প্রাইভেট টিউশন সেরে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় তাকে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। ঘটনায় তদন্তে নেমে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। এরপরই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই নাবালকের এক তুতো দাদা তাকে অপহরণ করে তদন্তে জানতে পারে পুলিশ। জেরার মুখে ওই অভিযুক্ত জানান, পুজোর সময় আনন্দ করবেন বলে টাকার প্রয়োজন ছিল। তাই ভাইকে অপহরণ করে টাকা হাতানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁর। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দাদা ১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিলেন তাঁর কাকার কাছ থেকে। আরও পড়ুন: বাবাকে না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে ফোন করেছিল মেয়ে, দরজা ঠেলতেই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠলেন মালিকের ছেলে