আলুর ‘দোষ’-ই আপনার ব্রণ না-কমার কারণ নয় তো?
Food Causing Acne: বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা আমরা প্রায়শই খেয়ে থাকেন। আলু, পরোটা, পাউরুটি, চকোলেট, দুধের তৈরি খাবার প্রায়ই খাওয়া হয়। কিন্তু এই ধরনের খাবার ত্বকের প্রদাহ বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি ব্রণর সমস্যা বাড়ায়। তাই ব্রণর সমস্যায় ভুগলে রোজের ডায়েট থেকে কোন-কোন খাবার বাদ দেবেন, রইল টিপস।
বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ ব্রণর সমস্যায় ভুগছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, স্কিন কেয়ারে ভুল থাকায় ব্রণ কমছে না। কিন্তু ব্রণ তৈরি হওয়ার পিছনে আপনার লাইফস্টাইল সবচেয়ে বেশি দায়ী থাকে। ব্রণ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ত্বকে প্রদাহ তৈরি হলে ব্রণও বাড়তে থাকে। সবসময় ভাল মানের ক্লিনজার, ফেসপ্যাক দিয়ে ব্রণ তাড়ানো যায় না। আপনার ডায়েট এক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। আপনি কি জানেন, আলু খেলেও আপনার ব্রণ হতে পারে? বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা আমরা প্রায়শই খেয়ে থাকেন। আলু, পরোটা, পাউরুটি, চকোলেট, দুধের তৈরি খাবার প্রায়ই খাওয়া হয়। কিন্তু এই ধরনের খাবার ত্বকের প্রদাহ বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি ব্রণর সমস্যা বাড়ায়। তাই ব্রণর সমস্যায় ভুগলে রোজের ডায়েট থেকে কোন-কোন খাবার বাদ দেবেন, রইল টিপস।
আলু: আপনি আলু কীভাবে খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে আপনার ব্রণর সমস্যা বাড়বে কিনা। আলু সেদ্ধ দিয়ে মাখন ভাত খাচ্ছেন? কিংবা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে ভালবাসেন? এই ধরনের উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারের সঙ্গে আলু খাওয়া যাবে না। এমন কোনও খাবারই খাওয়া যাবেন না, যার মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে, যা ব্রণর সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
ময়দার তৈরি খাবার: লুচি-পরোটা থেকে শুরু করে পাউরুটি, পিৎজা, বার্গারও তৈরি হয় ময়দা দিয়ে। এমনকি চায়ের সঙ্গে যে বিস্কুটটা খান, সেটাও ময়দা দিয়ে বানানো। এই ধরনের খাবারে উচ্চ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। এগুলো ব্রণর সমস্যা বাড়াতে থাকে।
চিনির তৈরি খাবার: সন্দেশ, রসগোল্লার প্রতি প্রেম ছাড়তে পারছেন না? কেক, পেস্ট্রি খেতে ভালবাসেন? চিনি দিয়ে তৈরি যে কোনও খাবার ব্রণর জন্য ক্ষতিকারক। এমনকি চিনি তৈরি পানীয়ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক।
দুগ্ধজাত পণ্য: দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু আপনি যদি ব্রণর সমস্যায় ভোগেন, তাহলে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য থেকে দূরে থাকুন। যদিও মাঝেমধ্যে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য খেলে কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু ঘন ঘন দুধ, ছানা, মাখন, ঘি, চিজ খেলে ব্রণ বাড়বে।
চকোলেট: চকোলেটের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে বার্ধক্যের হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু অনেক সময় এই চকোলেটই ব্রণর সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। চকোলেট খাওয়া কমিয়ে দিলে ব্রণর সমস্যা কমতে পারে।