Bats’ Lose Hearing Capacity: পরিবেশে থাকা প্রাণীদের জীবন সম্পর্কে কত জিনিসই বা মানুষ জানে। তবে সেই সব কিছুরই উত্তর খুঁজে বের করেন বিজ্ঞানীরা। আর তাতেই বোধ হয় অজানা তথ্য়ও জানা হয়ে যায়। অনেকেই হয়তো জানেন না, স্তন্যপায়ী প্রাণীরা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের শ্রবণশক্তি হারায়। কিন্তু বাদুড়কে কখনই সেই তালিকায় রাখেননি বিজ্ঞানীরা। আগে মনে করা হয়েছিল যে বাদুড়ের বার্ধক্য, তার শ্রবণশক্তিকে কোনওভাবেই প্রভাবিত করে না। কারণ এই প্রাণীরা তাদের চোখের চেয়ে তাদের শ্রবণশক্তির উপর বেশি নির্ভর করে, যা তাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। তবে বর্তমানে অন্য এক তথ্য তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানীরা। ইসরায়েলের ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক দেখেছেন যে, বাদুড় প্রায়শই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো তাদের শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলে।
ইসরায়েলি বিজ্ঞানীদের করা এই গবেষণা অনুসারে, এটা সত্য যে বাদুড় বৃদ্ধ বয়সে তাদের শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলে। কিন্তু কতটা হারায়, আর কেন হারায়, সে বিষয়েও গবেষণা করেছেন। আর গবেষনার ফলাফলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীর দল।
বাদুড়ের এভাবে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলার কারণ কী?
এর পিছনেও রয়েছে মানুষের এই বিলাসবহুল জীবনযাপন। নিশ্চয়ই প্রশ্ন এল এমন কীভাবে সম্ভব? এমনই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। মানুষের এই অত্যাধুনিক পরিবেশে তারা মানিয়ে নিতে পারছে না। গাড়ি-কলকারখানা সব কিছু থেকে উৎপন্ন আওয়াজে তারা শোনার ক্ষমতা প্রতিনিয়ত হারাচ্ছে। গবেষকরা দেখেছেন যে, এসব প্রাণী 100 ডেসিবেলের বেশি শব্দের তীব্রতা থেকেও বেঁচে গিয়েছে, যা মোটরসাইকেল বা বৈদ্যুতিক করাতের শব্দের সমান। সেখানে মানুষ মাত্র 65 ডেসিবেল। অর্থাৎ মানুষের তুলনায় অনেক বেশি শোনে তারা। তাহলে এবার ভাবুন, পরিবেশে হওয়া যে কোনও শব্দ ওদের কাছে কতটা জোরে পৌঁছায়। তার উপর আবার বাদুড় খুব কোলাহলপূর্ণ জায়গায় বাস করে, যা যে কোনও মানুষ বা অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর শ্রবণ ক্ষমতার উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
কী হারে তাদের শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়?
বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি বছর এক ডেসিবেল করে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায় বাদুড়ের। তবে অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর তুলনায় অনেক প্রজাতির বাদুড়ের আয়ু অনেক বেশি। তাদের জীবনকাল প্রায় 40 বছর। টেল আভিভ ইউনিভার্সিটির নিউরোকোলজিস্ট ইয়োসি ইয়োভেল বলেন, “অনেক প্রাণীরা বেশি কোলাহল যুক্ত এলাকায় বেঁচে থাকতে পছন্দ করে। এমনকি সেই শব্দ তাদের বেঁচে থাকতেও সাহায্য করে। বাদুড়ের বেঁচে থাকার জন্যও সেই শব্দের প্রয়োজন।” বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যতটা শব্দ তাদের বেঁচে থাকার জন্য দরকার, তার থেকে অনেক বেশি শব্দ হয় পরিবেশে। তাই তারা শোনার ক্ষমতা হারাতে থাকে।