উলুবেড়িয়া: কালীপুজোর ঠিক পরের দিন, আলোর রোশনাই তখনও চোখে পড়ছে সর্বত্র। তারই মধ্যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। আগুনে দগ্ধ হয়ে বাড়ির মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও একজন। বাজি থেকে ছিটকে যাওয়া আগুনে এত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, যে গোটা বাড়িটাই প্রায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। আগুন লেগেছে বুঝতে পেরেও বেরতে পারেনি কেউ। কেন এমন অবস্থা হল? সামান্য একটা ফুলঝুরির আগুনই একমাত্র কারণ? উঠেছে প্রশ্ন।
ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করবে। তবে ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ শনিবার সকালে বাড়ির সামনে গিয়ে যে ছবি দেখা গেল, তা থেকে তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা। বাড়ির সামনে পড়ে রয়েছে শিশুদের ব্যবহারের জিনিস সহ অনেক কিছুই। তার মধ্যেই রয়েছে একটি বোতল, যার মধ্যে ‘কাটা তেল’ তথা পেট্রোল রয়েছে বলে অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, যে বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে, ওই বাড়িতেই রয়েছে একটি দোকান। মুদি দোকান হলেও সেই দোকানে বিক্রি হয় কাটা তেল অর্থাৎ বোতলে ভরে ডিজেল বা পেট্রোল বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সেই তেল থাকাতেও মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে গোটা বাড়ি?
আরও দেখা যাচ্ছে যে, যে বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে পাশের বাড়িটির বিশেষ ছাড় নেই। এ ক্ষেত্রে জায়গা ছাড় দেওয়ার আইন মানা হয়নি, তা স্পষ্ট। সেই কারণেই কি আগুন লাগার পরও বেরনোর জায়গা পাওয়া যায়নি? সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উলুবেড়িয়া বানিতলায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তানিয়া মিস্ত্রি (১১), ইশান ধারা (৩) এবং মমতাজ খাতুনের (৫)। বছর উনিশের মণীশা খাতুন নামে আরও একজন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।