TV9 বাঙালিয়ানা: বাস্তবের আয়না, নতুন নায়কের খোঁজে; হাল ধরবে কে?

এই প্রথম বাংলায় টেলিথন - TV9 বাঙালিয়ানা। সঞ্চালনায় থাকছেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, রুমেলা চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ এবং TV9 নিউজ নেটওয়ার্কের সিইও বরুণ দাস।

TV9 বাঙালিয়ানা: বাস্তবের আয়না, নতুন নায়কের খোঁজে; হাল ধরবে কে?
TV9 বাঙালিয়ানা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 13, 2022 | 8:24 PM

TV9 বাংলার অভিনব উদ্যোগ। বিষয়ভাবনায় ‘বাঙালিয়ানা। নাম দেওয়া হয়েছে TV9 বাংলা বাঙালিয়ানা। বাঙালিদের কাছে ‘বাঙালিয়ানা’ শব্দটি খুবই চেনা। কিন্তু বাঙালিয়ানা ঠিক কী? বাঙালির সাফল্য কি আজ কেবলই নস্ট্যালজিয়া? দেশে-বিদেশে বাঙালি তাঁদের সাফল্যের ছাপ রেখে চলেছে ঠিকই, কিন্তু নেতৃত্বের দৌড়ে বাঙালি কি পিছিয়ে পড়ছে? কী কারণে বাঙালি পিছিয়ে পড়ছে? তা হলে কি বাঙালির ভাবমূর্তি নিয়ে সমস্যা? বাঙালি কি ফের ফিরে পাবে তার হৃত গৌরব? এই নিয়ে নানা মত, নানা পথের খোঁজে দেশ-বিদেশের কৃতি বাঙালিরা এবার একই মঞ্চে। এই প্রথম বাংলায় টেলিথন। সঞ্চালনায় থাকছেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, পরিচালক গৌতম ঘোষ, রুমেলা চক্রবর্তী এবং TV9 নিউজ নেটওয়ার্কের সিইও বরুণ দাস। ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা থেকে সম্প্রচারিত হবে শুধুমাত্র TV9 বাংলায়।

পরাধীন দেশে রাজনীতি পেশা ছিল না। ছিল দেশকে স্বাধীন করার পন্থা। লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছিলেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। এর জন্য তাঁদের প্রাণের মূল্যও দিতে হয়েছিল। তাঁরাই পরবর্তীতে রাজনৈতিক দল তৈরি করেন। অর্থ জোগাড় করেন। কাজ সামলানোর জন্য সংগঠনও তৈরি করেন। স্বাধীন কোনও গনতন্ত্রে রাজনীতিবিদ বলতে যা বোঝায়, পরাধীন দেশে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মানুষদের তার সঙ্গে মৌলিক পার্থক্য তৈরি হয়েছে। প্রথম ক্ষেত্রের রাজনীতিবিদরা রাজনীতিকে পেশা হিসেবেই গ্রহণ করেছেন। নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এলে তাঁরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন পদ দখল করেছেন। রাষ্ট্র কিংবা দল তাঁদের মাইনে দেয়। দেশে রাজনীতিবিদদের একটা বড় অংশ যে অসাধু উপায়ে অর্থ রোজগার করে, এখানে সেই কথাই তুলে ধরা হবে।

সেই সঙ্গে তুলে ধরা হবে স্বাধীনতার আগের জাতীয় রাজনীতিতে বাঙালি রাজনীতিকদের কথাও। যেমন উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, চিত্তরঞ্জন দাশ, বিপিনচন্দ্র পালদের কথা। তুলে ধরা হবে সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালির ভূমিকার কথাও। মুজফফরনগর বিপ্লবী অভিযান, আলিপুর বোমা মামলা, যুগান্তর ও বাঘা যতীন, কাকোরী বিপ্লবী অভিযান, চট্টগ্রাম উত্থান… সর্বোপরি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদানের কথা।

তুলে ধরা হবে স্বাধীনতার পরে জাতীয় রাজনীতিতে বাঙালি রাজনীতিকদের কথাও। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, প্রণব মুখোপাধ্যায়, নকশাল আন্দোলনের সময়, জ্যোতি বসু, সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আলোচনার মূল বিষয় ১৯৪৭ সালের পর জাতীয় রাজনীতিতে কোনও বাঙালিই সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সেই দীর্ঘ অভাব পূর্ণ করতে পারবেন? প্রাদেশিক রাজনীতির গণ্ডি টপকে ইতিমধ্যেই তিনি কি নিজেকে একজন সর্বভারতীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ফেলতে পেরেছেন? আরও স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি হতে চলেছেন দেশের প্রথম বাঙালি প্রধানমন্ত্রী?

টেলিথনে উঠে আসবে বাঙালিয়ানায় নারীদের ভূমিকার প্রসঙ্গও। প্রশ্ন এটাই: বাংলার সংস্কৃতিতে নারীর সম্মান কি সত্যিই চিরাচরিত? আঠারো শতকের মাঝামাঝি থেকে একুশ শতক, এই আড়াইশো বছরের ভারতের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, নারীর ক্ষমতায়ন, এমপাওয়ারমেন্টের নিরিখে বাংলা এক সময় যথেষ্ট এগিয়ে ছিল। ভারতে নারীমুক্তির আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দুই বাঙালি: রামমোহন রায় ও তাঁর সতীদাহ প্রথা রোধ এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বিধবাবিবাহ চালু। আলোচনার বিষয় বাংলায় মহিলাদের সম্মান আছে বলে যে ধারণা চলে, সেটা কি আদতেও ঠিক? বাস্তব আসলে কি? মহিলাদের ক্ষমতায়ন কি কেবল সরকারের দায়িত্ব? সমাজেরই বা ভূমিকা কি?