চুপিচুপি বিধায়কদের সঙ্গে দেখা তৃণমূল শীর্ষনেতার, ‘অল ইজ ওয়েল’ বলছেন বিজেপি নেতারা

বিজেপির দাবি, ২০২৩ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি দুই বছর আগে থেকেই নিতে শুরু করেছে দল। সেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা রাজ্যে এসেছিলেন।

চুপিচুপি বিধায়কদের সঙ্গে দেখা তৃণমূল শীর্ষনেতার, 'অল ইজ ওয়েল' বলছেন বিজেপি নেতারা
ছবি: বিপ্লব দেবের টুইটার থেকে।
Follow Us:
| Updated on: Jun 18, 2021 | 3:10 PM

আগরতলা: পুরনো দলে ফিরেই আগের ছন্দে সংগঠন বাড়ানোর কাজে লেগে পড়েছেন মুকুল রায়। এ দিকে, কেন্দ্রীয় নেতা বিএল সন্তোষের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় চার সদস্য দলের দু’দিনের সফরের পরই সংগঠন অটুট থাকা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি।

মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে একদল বিজেপি বিধায়ক, যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা ফের পুরনো দলেই ফিরতে চাইছেন বলে জল্পনা। বৃহস্পতিবারই ত্রিপুরার দুই তৃণমূল নেতা একাধিক বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেন বলেও সূত্রের খবর।

তবে এই পরিস্থিতিতেও দলের সংগঠন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ত্রিপুরার বিজেপি প্রেসিডেন্ট মানিক সাহা। তিনি বলেন, “বিজেপি নেতাদের মধ্যে কোনও অন্তর্দ্বন্দ্ব নেই। আমরা সবাই একটা পরিবারের মতো। যে কোনও পরিবারের মতোই আমাদের পরিবারেও মত পার্থক্য তৈরি হতেই পারে, তবে তা মিটিয়ে নিয়েছি। যা কিছু সমস্যা ছিল, তার ১০০ শতাংশই সমাধান হয়ে গিয়েছে।”

মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার পরই ১৫ বিধায়কের তৃণমূলের যোগদানের প্রস্তুতির খবর মিলতেই শীর্ষনেতাদের দিল্লি থেকে উড়ে আসা এবং সমস্ত স্তরের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার ঘটনায় বিজেপির নড়বড়ে সংগঠন সামনে উঠে এলেও তা মানতে নারাজ শাসক দল। বিজেপির দাবি, ২০২৩ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি দুই বছর আগে থেকেই নিতে শুরু করেছে দল। সেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা রাজ্যে এসেছিলেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করার নির্দেশও দিয়েছেন তাঁরা।

এ দিকে, ২০১৬ সালে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে ছয় বিধায়ককে আনা এবং বিজেপিতে যোগদানের পরেও একাধিক বিধায়কের দলবদলের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যে এ বারও ঘটবে, তা নিয়ে এক প্রকার নিশ্চিত তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের মতে, বিজেপির শাসনে তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। একমাত্র তৃণমূলই রাজ্যবাসীদের বাঁচাতে পারে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে তৃণমূলের হয়ে প্রচারের জন্য “খেলা হবে” গানটিকেও কিছুটা পরিবর্তন করে ত্রিপুরায় প্রকাশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইয়েদুরাপ্পাকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদে চান না একাধিক বিধায়ক