Kashvee Gautam: গলি থেকে রাজপথে, WPLএ ২ কোটির দরে গুজরাটের ঘরে; কে এই কাশ্বী গৌতম?
ছেলেদের মতো মেয়েদের লিগেও তাই দেখল ক্রিকেট দুনিয়া। যাঁকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত চিনত না কেউ, সেই কাশ্বী গৌতম ২ কোটি দর পেলেন। ব়্যায়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, ইউপি ওয়ারিয়র্স, গুজরাট জায়ান্টসের মধ্যে তুমুল দড়ি টানাটানির পর শেষ হাসি হাসল গুজরাটই। এই কাশ্বী গৌতম (Kashvee Gautam) চেনেন? গলি ক্রিকেট থেকে উঠে আসা চণ্ডীগড়ের ডান হাতি পেসার প্রথম নজরে পড়েন তিন বছর আগে। অনূর্ধ্ব ১৯ ঘরোয়া ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে।
কলকাতা: রাতারাতি কোটিপতির গল্প আইপিএলে নতুন নয়। অটোচালক কিংবা সাফাইকর্মীর চোখের পলকে আলোচনায় ঢুকে পড়ার কাহিনিও অনেক শুনিয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগও (WPL) এ বার তেমনই এক অবিশ্বাস্য উত্তরণের গল্প শুনে ফেলল। বেস প্রাইস যাঁর ১০ লক্ষ, তাঁকে নিয়ে যে ব্যাপক দর কষাকষি হতে পারে, সব টিম ঝাঁপিয়ে পড়বে, বোধহয় জানাই ছিল না। এমন অনেক অজানা গল্পই তো তুলে ধরে আইপিএলের মঞ্চ। ছেলেদের মতো মেয়েদের লিগেও তাই দেখল ক্রিকেট দুনিয়া। যাঁকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত চিনত না কেউ, সেই কাশ্বী গৌতম ২ কোটি দর পেলেন। ব়্যায়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, ইউপি ওয়ারিয়র্স, গুজরাট জায়ান্টসের মধ্যে তুমুল দড়ি টানাটানির পর শেষ হাসি হাসল গুজরাটই। এই কাশ্বী গৌতম (Kashvee Gautam) চেনেন?
কে এই কাশ্বী গৌতম?
গলি ক্রিকেট থেকে উঠে আসা চণ্ডীগড়ের ডান হাতি পেসার প্রথম নজরে পড়েন তিন বছর আগে। অনূর্ধ্ব ১৯ ঘরোয়া ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে। অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক সহ একাই নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে জায়গা করে নেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে সাফল্য পেলেও ভারতীয় টিমে ঢুকতে পারেননি। গত বার মেয়েদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের নিলামে অবিক্রিত ছিলেন। তখন কেউ হয়তো ভাবেননি এই গৌতমের দাম এ বার ২ কোটি টাকা উঠে যাবে। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন। গত মরসুমটাতে নিজের গতি নিয়ে প্রচুর কাজ করেছেন। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে ৭ ম্য়াচ খেলে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন। ইকনোমি রেট ছিল মাত্র ৪.১৪। সিনিয়র ভারতীয় টিমে জায়গা না পেলেও অনূর্ধ ২৩ এসিসি ইমার্জিং টুর্নামেন্টে চমৎকার পারফরম্যান্স করেছিলেন। তারই সুফল পেলেন গৌতম।
বলের পাশাপাশি ব্যাটের হাতও বেশ ভালো কাশ্বীর। ভুবনেশ্বর কুমার তাঁর আইডল। এক সাক্ষাৎকারে বলেওছিলেন, ‘ভুবনেশ্বর কুমার আমার অনুপ্রেরণা। ও নিজের কেরিয়ারে প্রচুর উত্থান-পতন দেখেছে। সেখান থেকে বিশ্বের সেরা বোলারদের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছিল। আমি সব সময় ভুবনেশ্বরের মতো বোলিং করার চেষ্টা করি। টিমের জন্য ও যেমন নিজের অবদান রাখে, তেমন রাখার চেষ্টা করি।’