Bison: চিলাপাতা থেকে গ্রামে ঢুকল বাইসন, এরপর যা করল মানুষের হাত-পা অসাড় হওয়ার জোগাড়

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 04, 2023 | 5:48 PM

Alipurduar: এদিকে সকাল থেকে বাইসনের আতঙ্ক গ্রাস করেছে এলাকাবাসীকে। ঘর থেকে বেরোতে পারছিলেন না স্থানীয় মানুষজন।

Bison: চিলাপাতা থেকে গ্রামে ঢুকল বাইসন, এরপর যা করল মানুষের হাত-পা অসাড় হওয়ার জোগাড়
এই বাইসনটিই গ্রামে ঢোকে।

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: লোকালয়ে বাইসনের (Bison) তাণ্ডব। আলিপুরদুয়ারে দিনেদুপুরে বাইসন দাপিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ এলাকাবাসীর। ভয়ে সিঁটিয়ে তাঁরা। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে চিলাপাতার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। এদিন জঙ্গল ছেড়ে একটি বাইসন বেরিয়ে আসে লোকালয়ে। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের মথুরা বাজার, দক্ষিণ চকোয়াখতি এলাকায় কার্যত দাপিয়ে বেড়ায় দীর্ঘক্ষণ। ঘটনার খবর পেয়ে বন দফতরের চিলাপাতা রেঞ্জের বনকর্মীরা পৌঁছে যায় এলাকায়। দীর্ঘ সময়ের চেষ্টার পর শেষে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হয় বাইসনটিকে। বনদফতর সূত্রে খবর, বাইসনটি সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে চিলাপাতার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।

এদিকে সকাল থেকে বাইসনের আতঙ্ক গ্রাস করেছে এলাকাবাসীকে। ঘর থেকে বেরোতে পারছিলেন না স্থানীয় মানুষজন। বাইসনের তাণ্ডবে একটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান গ্রামবাসী। তাঁদের কথায়, এলাকায় বাইসন ও বুনো হাতির তাণ্ডবে তাঁদের অবস্থা কার্যত নাজেহাল। বন্যপ্রাণী যাতে লোকালয়ে ঢুকে না পড়ে, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক বন দফতর, এমনই দাবি তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মীনা দত্ত বলেন, “সকাল থেকে শুনছি বাইসন। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে ফোনাফনি হচ্ছে। একবার বাড়ির সামনে দিয়ে গেল। আমরা একেবারে শ্বাস বন্ধ করে যেন ঘরে বসে আছি। কিছুক্ষণ পরে একজন ফোনে জানাল চলে গিয়েছে। তাতে কিছুটা স্বস্তি পাই। এরপরই আমাদের বাড়ির একজন বাথরুমে যায়। বাইরের দরজাও খোলা। তখন আবার শুনি বাইসন আসছে। বাইরে সমানে কুকুর ডাকছে। আমরা তো ভয়ে মরার জোগাড়। দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি বেরিয়ে গেল। আমাদের বাড়ির বেড়াটা ভেঙে দিয়েছে।”

ঘুমপাড়ানি গুলিতে বাইসনটিকে কাবু করার পর একটি বড় গাড়িতে করে নিয়ে যান বনকর্মীরা। তবে বিশাল চেহারার ওই বাইসনকে গ্রামের সরু পথ ধরে টেনে নিয়ে আসতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় উদ্ধারকারীদের। এদিকে বাইসনটিকে গ্রাম থেকে নিয়ে বেরোনোর সময় স্বস্তির উল্লাস গ্রামবাসীর।

 

Next Article