মালদহ: নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়েছিল পরীক্ষা। আর পাঁচজন পড়ুয়ার মতো সকাল সকাল কলেজে এসে গিয়েছিল ছেলেটা। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকেও পড়েছিল। কিন্তু, হাতে থাকা অ্যাডমিট কার্ডটা দেখে সন্দেহ হয় হয় পরীক্ষকের। ভাল করে খতিয়ে দেখতেই দেখা যায় সেটি ভুয়ো। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস কন্ট্রোল রুমে সেটি পাঠালে সেখান থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় সেটি জাল। এরপরই সোজা খবর দেওয়া হয় থানায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনা মালদহের চাঁচল কলেজে। খবর চাউর হতেই ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। শোরগোল পড়ে যায় কলেজেও।
ইতিমধ্যেই ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে চাঁচাল থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তলেজের তরফে। সূত্রের খবর, এদিন কলেজে বিএ জেনারেলের পঞ্চম সেমিস্টারের বাংলার পরীক্ষা চলছিল। তখনই ঘটে এই ঘটনা। ঘটনায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস বলেন, “গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছে চাঁচল কলেজে। বাইরের কলেজ থেকে পড়ুয়ারা এখানে পরীক্ষা দিতে এসেছে। পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষকের হাতে একটা জালিয়াতির ঘটনা ধরে পড়ে। হাজিরা খাতায় দেখা যায় একটা মেয়ের ছবি আছে, অ্যাডমিট কার্ডে রয়েছে একটা ছেলের ছবি। তাই সন্দেহ দানা বাঁধে। ছেলেটা বলতে থাকে ওটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুল। দ্রুত বিষয়টা কন্ট্রোলারের অফিসে জানানো হয়। তারপরই বোঝা যায় আসল ঘটনা। অরিজিনালে দেখা যায় মেয়ের ছবি আছে। তারপরই ছেলেটিকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের করে আনা হয়। খবর দেওয়া হয় থানায়।”
শেষে ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত যুবক। সিদ্ধার্থ দাস নামে ওই যুবক জানাচ্ছেন, তিনি বোনের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। বোন অসুস্থ তাই এ কাজ করতে তিনি বাধ্য হয়েছেন। তবে ভুল যে হয়েছে তা ক্যামেরার সামনেই স্বীকার করে নেন। স্পষ্টই বললেন, আসল অ্য়াডমিট কর্ডের জেরক্স করে নকলটা তৈরি করেছিলাম। স্যাররা সেটা বুঝতে পেরে যান। তবে এটা করা ঠিক হয়নি। আমার ভুল হয়েছে।