দার্জিলিং: বর্ষবরণের আনন্দের মাঝেও পিছু ছাড়ছে না করোনা উদ্বেগ। রবিবার গোটা দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮৪১ জন। গত ১০ মাসে একদিনে এত বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হওয়ার উদাহরণ নেই দেশে। তাই পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বাংলার ছবিটা বলছে পরামর্শই সার। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে, অথচ নমুনাই যাচ্ছে না সেখানে। করোনা নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক শর্তই যেখানে টেস্ট, সেখানে পরীক্ষার সংখ্যা কমে গেলে কী ভাবে পরিস্থিতি আয়ত্তে থাকবে?
সম্প্রতি কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে এক করোনা আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধের। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে
গত ৪৮ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন এক জন, যাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। জেএন ওয়ান ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখা হবে। কিন্তু গোটা রাজ্যে সার্বিক ছবি কী, তা জানার জন্য পরীক্ষা করা দরকার। সেই পরীক্ষা হচ্ছে কই?
উত্তরবঙ্গে পরীক্ষার যে পরিকাঠামো রয়েছে, সেখানে প্রতিদিন সাড়ে ৩ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, গোটা মাসে এক হাজার পরীক্ষাও হয়নি সেখানে। কারণ নমুনাই আসছে না। দার্জিলিং থেকে কোনও নমুনা আসে না বললেই চলে। অথচ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটনের সূত্রে বহু মানুষ যান দার্জিলিং-এ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে গত এক মাসে মাত্র ১০জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। আলিপুরদুয়ার থেকে যাওয়া নমুনার সংখ্যাও অত্যন্ত নগন্য।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, যাঁদের কাছে রোগীরা জ্বর, সর্দি, কাশির উপসর্গ নিয়ে যাচ্ছে, তাঁদের পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া উচিত।